৬ মাস পর পেঁয়াজ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র
পেঁয়াজ নিয়ে ৬ মাস পর এবার বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় দেশের মানুষ ও কৃষক, ২ পক্ষের কথাই মাথায় রেখেছে সরকার।
ভারতের রান্নাঘরে পেঁয়াজ এক আবশ্যিক উপাদান। আলু, টমেটো, আদা, রসুনের মতই পেঁয়াজ অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারে মজুত থাকেই। কারণ বিভিন্ন রান্নায় পেঁয়াজ লাগে। সেই সঙ্গে খাবার পাতে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাসও অনেকের।
তাই পেঁয়াজের দাম ওঠানামা সরাসরি দেশের অতি সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। সেই পেঁয়াজের ফলন আশা মতন না হওয়ায় গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র।
ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে দেশিয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের মুখের দিকে চেয়ে থাকা দেশগুলি কিছুটা বিপাকে পড়ে।
গত ২৭ এপ্রিল সরকার পেঁয়াজ নিয়ে ফের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যেখানে ৬টি দেশ, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কায় ৯৯ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানিতে ছাড় দেয় কেন্দ্র।
কিন্তু বাকি দেশে পেঁয়াজ রফতানি যেমন বন্ধ ছিল তেমনই রয়ে যায়। অবশেষে ৫ মে শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হল। তবে এবার রফতানি মূল্য বাড়িয়ে এই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে।
প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ধার্য হয়েছে ৫৫০ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৬ হাজার টাকার সমান। এতে কৃষকরা ভাল দাম পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের যোগানেও ঘাটতি হবেনা। একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে দেশিয় চাহিদা পূরণ ও রফতানির মধ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা