পাকিস্তানের মাটিতে নিশ্চিন্তে কাজ করা জইশ-ই-মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে একমাত্র ভেটো এসেছে চিনের দিকে থেকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিনের ভেটো আটকে দিয়েছে মাসুদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় ঢোকা। এতে গোটা ভারত ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ দেশের ব্যবসায়ীরাও। তাই তাদের দেশ জুড়ে সব সদস্যকে চিনা দ্রব্য কেনা বা বেচা ২ বন্ধ করতে আহ্বান জানাল ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএআইটি। বৃহস্পতিবার এই আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল।
আগামী ১৯ মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিনা দ্রব্য পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ভারতের মানুষ। এবার চিনা দ্রব্য পুড়িয়ে তা বর্জনের আন্দোলন শুরু হল ভারতে। কারণ ব্যবসায়ীরা যদি চিনা দ্রব্য দোকানে না রাখেন তবে তা ক্রেতারাও পাবেননা। যা ভারতের মত বিশাল বাজারে ব্যবসা করা চিনা দ্রব্যের জন্য বড় ক্ষতি।
কেন্দ্রের কাছেও চিনা দ্রব্যের আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে সিএআইটি। সংগঠনের বক্তব্য, পাকিস্তানের ভারত বিরোধী নীতির ফল এবার চিন ভোগ করুক। এটা ঠিক যে চিনের দ্রব্যের এতবড় বাজার গোটা বিশ্বে নেই। চুটিয়ে চিনা দ্রব্য বিক্রি হয় ভারতে। সেখানে ভারতের খুচরো ব্যবসায়ীরা যদি বেঁকে বসেন তবে তা চিনের জন্য বড় বাজার নষ্ট করবে।
কিন্তু এখানে আরও একটা প্রশ্নও উঠছে। যদি চিনের জিনিস কেনাবেচা ভারতে বন্ধ হয়েও যায়, তাহলে কী ভারত সেই প্রয়োজনীয় জিনিস ভারতীয় বাজারে অন্য কোথাও থেকে যোগান দিতে তৈরি? কারণ মানুষের চাহিদার সঙ্গে যোগানের সামঞ্জস্য আচমকা থমকে গেলে কিন্তু একটা বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। আশা করা যায় ভারত সরকার চিনা দ্রব্যের বদলে সেই চাহিদা অন্য কোনওভাবে নিশ্চয়ই পূরণ করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা