বিদেশের ঝাল মশলার ওপর ঝোঁক দেখে এদেশে খুশির হাওয়া
বিদেশে ঝাল মশলার ব্যবহার কম। এমনটাই সকলের জানা। বরং ঝাল মশলা এদেশের মানুষই বেশি খান। যা অন্য দেশে সমালোচিতও হয়। কিন্তু দিন বোধহয় বদলাচ্ছে।
খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে তাতে মশলাপাতির ব্যবহার সীমিত হওয়া জরুরি। তেল ঝাল কম হবে। ঝাল মশলা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। এমনটাই সকলে জানেন। আর বিদেশে এই স্বাস্থ্যকর খাবারই খাওয়া হয়।
ভারতে যেমন ঝাল মশলার যথেষ্ট ব্যবহার ছাড়া অনেক পরিবারে খাবার মুখে রোচে না, বিদেশের মানুষজনের ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। বরং তাঁরা নিজেদের ঝাল মশলা থেকে দূরে রাখেন। এই চির পরিচিত বিশ্বাস এবার বোধহয় পাল্টানোর সময় এসেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বিদেশে রফতানি হওয়া মশলার যে খতিয়ান সামনে এসেছে তা চিরাচরিত ধারনাকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। এই ১ বছরে ভারত থেকে বিদেশে ১৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৯২ টন মশলা রফতানি হয়েছে। যা একটা রেকর্ড।
আরও বড় রেকর্ড তৈরি হয়েছে লাল লঙ্কার রফতানিতে। শুধু লাল লঙ্কার রফতানি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যাঁরা বলেন বিদেশিরা ঝাল এড়িয়ে চলেন, খেলেও লাল লঙ্কা একেবারেই নয়, তাঁদের ধারনা বদল করার বোধহয় সময় এসেছে।
১ বছরে মশলা বিক্রি করে ভারত প্রচুর আয় করতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশে মশলা বিক্রি করে ভারত ১ বছরে ৩৬ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা রোজগার করেছে। এটাও সর্বকালীন রেকর্ড।
১ বছরে মশলা বিদেশে বিক্রি করে এত আয় এর আগে কখনও হয়নি। বিশ্ব বাজারে মশলা বিক্রির ক্ষেত্রে ভারত এখন অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা