গমের কালোবাজারি রুখতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র
গমের মত আমজনতার নিত্যপ্রয়োজনীয় অবশ্য দ্রব্য নিয়ে যাতে কালোবাজারি না হয় সেকথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
গম নিয়ে যাতে পাইকারি বা সাধারণ বিক্রেতারা কোনও কালোবাজারি না করতে পারেন সেজন্য পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। কিছুদিন আগেই ডাল নিয়ে কেন্দ্র কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। ডালের দাম যাতে না সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তা দেখার জন্য যে রাস্তায় হেঁটেছিল কেন্দ্র, ঠিক সেই রাস্তাতেই তারা হাঁটল গমের ক্ষেত্রেও।
গম মজুতের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল তারা। গমের পাইকারি বিক্রেতা, খুচরো বিক্রেতা ও খুচরো চেন বিক্রেতার ক্ষেত্রে গম মজুত রাখার সীমা দিয়ে দেওয়া হল। এমনকি গম প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ক্ষেত্রেও এই মজুত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
পাইকারি বিক্রেতারা ৩ হাজার মেট্রিক টন, সাধারণ বিক্রেতারা দোকান পিছু ১০ মেট্রিক টন, খুচরো চেন বিক্রেতারা দোকান পিছু ১০ মেট্রিক টন এবং গম প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্তরা ৩ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত গম একসঙ্গে মজুত করতে পারবে।
তবে তার বেশি নয়। তাদের স্টক কি রয়েছে তা সরকারি ওয়েবসাইটে নিয়মিত ঘোষণা করতে হবে বিক্রেতাদের। ২৪ জুন সোমবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী হয়েছে।
দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। এই মজুত নিয়ন্ত্রণ আপাতত ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বলবত করেছে কেন্দ্র।
যাদের কাছে এর চেয়ে বেশি মজুত এখন রয়েছে তাদের ৩০ দিন সময় দিয়েছে সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের মধ্যে তাদের নির্ধারিত ওজনের মজুতের মধ্যে তাদের মজুতকে নিয়ে আসতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা