মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটাল চাল, ডালে বর্ষার জিয়নকাঠির ছোঁয়া
চাল, ডালের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম কি কয়েক মাসের মধ্যে কমতে চলেছে, বর্ষার জলের স্পর্শে এবার অন্য জিয়নকাঠির ইঙ্গিত দিল সরকার।
ভারতের মত কৃষিনির্ভর দেশে কৃষিজ সম্পদের ওপর অনেক কিছু দাঁড়িয়ে থাকে। বহু মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। দেশের সিংহভাগ আমজনতার প্রাত্যহিক খাবারের পাত নির্ভর করে।
এবার বর্ষা ভাল হয়েছে দেশে। আর তার সুফল এবার পেতে চলেছেন কৃষক থেকে আমজনতা। কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে এক মন ভাল করা খবর সামনে আনা হয়েছে। এবার ভাল বর্ষার কারণে খরিফ শস্যের বপন অনেকটাই বেড়েছে।
যেখানে গতবছর ৩৯৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল, সেখানে এবার ধান বপন হয়েছে ৪১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে। এবার ডাল। গতবছর খরিফ মরসুমে নানাধরনের ডাল বপন করা হয়েছিল মোট ১১৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে। সেখানে এ বছর হয়েছে ১২৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে।
মিলেট জাতীয় শস্য ১৮৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল গতবছর। এ বছর খরিফ মরসুমে তা বেড়ে হয়েছে ১৮৯ লক্ষ হেক্টর জমি। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের বীজ চাষেও গতবছরের চেয়ে বেশি জমি লেগেছে এবার। ১৯০ লক্ষ হেক্টর জমিতে খরিফ মরসুমে গতবছর তৈলবীজ চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯৩ লক্ষ হেক্টর জমি।
এমন ভাবে চলতি বছরে খরিফ শস্য অনেক বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে ভাল বর্ষার কৃপায়। সব মিলিয়ে যেখানে গতবছর ১ হাজার ৮৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে খরিফ শস্য চাষ হয়েছিল, সেখানে চলতি বছরে খরিফ শস্য চাষের জন্য জমি লেগেছে ১ হাজার ৯৬ লক্ষ হেক্টর।
শুধু গতবছর বলেই নয়, গত ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবার খরিফ মরসুমে শস্য বপনের জমির বহর। আর জমির বহর বেশি মানেই বেশি ফসল। আর ফসল বেশি উৎপাদন হওয়া মানেই বাজারে তার যোগান বৃদ্ধি। আর যথেষ্ট যোগান দামেও সুরাহার পথ খুলে দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা