কয়েক মাসে এত এসি বিক্রি হয়েছে, সংখ্যাটা অবিশ্বাস্য লাগতে পারে
চলতি অর্থবর্ষে যে সংখ্যক এসি ভারতের বাড়িতে বাড়িতে বিক্রি হয়েছে তা শুনে অনেকের বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু খতিয়ান বলছে সংখ্যাটা সঠিক।
গরম বেড়েই চলেছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন চরম আকার নিচ্ছে, গড় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে, শহর ক্রমশ তার ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে, মানুষজন কেনার জন্য সহজ কিস্তির সুযোগ পাচ্ছেন, অনেক মানুষের হাতে বাড়তি খরচের মত টাকা রয়েছে, এসবই একটাই দিকে ইঙ্গিত করে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই গরম সহ্য করার ক্ষমতা হ্রাস।
গরমের মাত্রা এতটাই যে তা অসহ্য হয়ে উঠছে। অনেকেই মনে করছেন এসি আর কোনও বিলাসিতা নয়, দৈনন্দিন জীবনের আবশ্যিক এক প্রয়োজন।
চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে যে গরম ভারত সহ্য করেছে তা কার্যত অজানা। কলকাতাতেই সর্বকালের রেকর্ড গড়েছে পারদ। হিসাব বলছে গত ৩০ বছরে প্রতিবছর তাপপ্রবাহের দিনের সংখ্যাটা বেড়েছে। আর তা বেড়েই চলেছে।
বিশ্ব আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে গরম বা তাপপ্রবাহ যে কমতে পারে এমন সম্ভাবনা সুদূর ভবিষ্যতেও নেই। ফলে গরমের হাত থেকে বাঁচতে বহু মানুষই বাড়িতে এসি লাগাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তার বিক্রি হুহু করে বাড়ছে।
চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এসি মেশিন বিক্রি হয়েছে। যা কার্যত রেকর্ড গড়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে এসি বিক্রি। যার সিংহভাগই সাধারণ মানুষ বাড়িতে লাগাচ্ছেন।
এমনকি এটাও দেখা গেছে যে যাঁদের আগে থেকেই বাড়িতে এসি ছিল, তাঁরা তা বদলেছেন। এখন যে সব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি মেশিন বিক্রি হচ্ছে সেগুলি কিনেছেন তাঁরা। তাতে দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই বাঁচছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা