হাত দিলেই ছেঁকা, আনাজের আগুন দরে জোড়া কারণ দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা
আনাজের দাম শুনেই অনেকে হাঁটা দিচ্ছেন। কেনা অসম্ভব। চলতি সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই মনে করছেন আনাজের বাজারের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
কাঁচা আনাজ কেনা দায়। এমনই তার দাম। আলু, আদা, রসুনের দাম তো চড়েই রয়েছে। কিছু আনাজের দামও সেই দুর্গাপুজোর আগে থেকেই বেশ চড়া। এবার সেই পরিস্থিতিও বদলে গেল। আনাজের বাজার এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে দাম হাঁকছে উৎসবের মুখে।
কালীপুজো ভাইফোঁটাকে সামনে রেখে চলতি সপ্তাহে বাজার যে কেমন যাবে তা গত রবিবারই পরিস্কার হয়ে গেছে। আলু ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে অনেক বাজারে। যা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
কাঁচা লঙ্কা যে কোনও পরিবারের হেঁশেলেই আবশ্যিক। তার দাম ১৫০ টাকা কেজি। ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস। তাও অনেক ক্ষেত্রেই তার সাইজ ও চেহারা মনঃপুত হওয়ার মত নয়।
বিনস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। উচ্ছের দাম ৯০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে। টমেটো ১০০ টাকা কেজি। অনেকে আবার ১২০ টাকাও নিয়ে নিচ্ছেন। পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বেগুনেও হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছেনা।
কালীপুজো ও ভাইফোঁটায় প্রতিবারই দাম একটু চড়াই থাকে। চাহিদা তুঙ্গে থাকায় বাজারের উত্তাপও হাত পোড়ায়। কিন্তু এবার যেন আনাজের দাম লাগামছাড়া। এখন যে দাম দেখা যাচ্ছে তার থেকেও বেশি হতে পারে ভাইফোঁটাকে সামনে রেখে।
কিন্তু কেন এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি? কলকাতার আনাজ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের দাবি, এর পিছনে রয়েছে ২টি কারণ। ১টি হল উৎসবের চাহিদা তুঙ্গে থাকায় দাম একটু চড়াই থাকে। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে দানার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি।
উৎসবের মরসুমের আগেই এই বৃষ্টি আনাজ ফলনের ক্ষতি করেছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। ফলে আনাজের ক্ষতি এবং চাহিদা মিলে দামকে এমন রকেট গতিতে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।