২ বছরে গ্রামাঞ্চলে ৬০ শতাংশ লাফ দিয়েছে জিনিস কেনার ধুম, কৃষকরা কিনছেন না
ভারতের গ্রাম প্রধানত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। অন্তত সাধারণ মানুষের এটাই ধারনা। সেই গ্রাম এখন কেনাকাটায় অন্য ভেল্কি দেখাচ্ছে।
এফএমসিজি বা ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস, যার মধ্যে পড়ছে প্যাকেটজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, প্রসাধনী, সাবান জাতীয় জিনিসপত্র, নানাধরনের সাফাইয়ের জিনিস বা নিত্যপ্রয়োজনে লাগে এমন ঘরোয়া জিনিসপত্র।
এমন নানা কিছু নিয়েই এফএমসিজি। যা দামে কম, চাহিদাও প্রচুর। এইসব জিনিসের চাহিদা মূলত ছিল শহর বা মফঃস্বলে। গ্রামে এফএমসিজি জিনিসের চাহিদা অতটও ছিলনা।
কিন্তু গত ২ বছরে দেখা যাচ্ছে এই চাহিদা গ্রামে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধির শতাংশ দেখলে অবশ্যই চমক লাগতে পারে। কিন্তু খতিয়ান তাই বলছে।
গ্রামে এখন হুহু করে এফএমসিজি জিনিস কেনার ধুম বাড়ছে। কিন্তু গ্রাম বললে যে কৃষকদের বোঝায় তাঁরা কিন্তু এর ক্রেতা নন।
একটি খতিয়ান বলছে গ্রামের বাসিন্দাদের ১৯ শতাংশ কেবলমাত্র কৃষি কাজ করে রোজগারের সঙ্গে যুক্ত। বাকিরা কেবল কৃষিকাজের ওপর রোজগারের নির্ভরতা রাখেননি। তাঁরা অন্য নানাভাবে রোজগারের পথ খুলেছেন।
এতে গ্রামীণ অর্থনীতির শক্তি বেড়েছে। মানুষের রোজগার বেড়েছে। আর রোজগার বাড়া মানে ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া। যার সুস্পষ্ট প্রভাব জিনিসপত্র কেনার প্রবণতায় পড়ছে।
গত ২ বছরে গ্রামাঞ্চলে এফএমসিজি জিনিসের চাহিদা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া কেবল এফএমসিজি সংস্থাগুলির জন্যই খুশির খবর নয়, দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য ভাল খবর। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত।
গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ার ইঙ্গিতবাহী। গ্রামাঞ্চলে এফএমসিজি জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধির এই খতিয়ান গ্রুপ এম অ্যান্ড ক্যানটার রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা