আলুর দাম কি আরও বাড়বে, পরিস্থিতির ইঙ্গিত সেদিকেই, মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ
আলুর দাম এখনই লাগামছাড়া। এরপর যদি তা আরও বাড়ে তাহলে তা কেনাই দায় হয়ে যাবে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইঙ্গিত কিন্তু সেদিকেই। ফলে চিন্তা আরও বাড়ল মধ্যবিত্তের।
আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন। সাধারণ বাঙালি পরিবারে এই খাদ্য উপাদানগুলি কার্যত নিত্যপ্রয়োজনীয়। কিন্তু তার প্রতিটির দামই লাগামছাড়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দাম এতটাই যে অনেকেই কেনায় কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিকল্প খাবার ভাবছেন যেখানে এগুলির ব্যবহার নেই বা নামমাত্র।
সাধারণ বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি এবং চন্দ্রমুখী আলু ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর সামান্য কমবেশি বাজার ভেদে রয়েছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যসরকার পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
রাজ্যের মানুষের জন্য আলুর যোগান ঠিক রাখতে এই পদক্ষেপকে সাধুবাদও জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিক্রেতাদের একাংশ তারপরেও ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ।
ফলে আলু বোঝাই লরি আটক করছে পুলিশ। আর সেখানেই আপত্তি আলু ব্যবসায়ীদের। পুলিশ জোর করে তাঁদের লরি আটকাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
এর প্রতিবাদে তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ধর্মঘট হবে হিমঘর থেকে আলু বার না করে। হিমঘর থেকে আলু বার না করা হলে বাজারে আলুর চাহিদা আরও বেড়ে যাবে।
ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম ও ছত্তিসগড়ে বাংলা থেকে আলু যায়। ওই রাজ্যগুলি আলুর জন্য বাংলার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।
সেখানে আলু বোঝাই হয়ে চলে গেলে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের বাজারে আলুর ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করেই রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানতে নারাজ। তাঁরা মনে করছেন ভিন রাজ্যে গেলেও রাজ্যবাসীর জন্য আলু রয়েছে।
হিমঘর থেকে আলু বার করা বন্ধ হলে রাজ্যের সব বাজারেই আলুর চাহিদা বাড়বে। ফলে দামও বাড়বে। যা এখন বড় চিন্তার কারণ হয়েছে মধ্যবিত্তের জন্য। এই পরিস্থিতি মঙ্গলবার থেকেই বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সকলে।