ধন ধান্যে চায়ের গন্ধে বিশ্ব দরবারে ভারতের রেকর্ড ভাঙা লক্ষ্মীলাভ
ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সুখবর মানে অবশ্যই দেশের উন্নয়নের পথ ধরে প্রাপ্তি যোগ। সীমানা পার করে এই প্রাপ্তি অবশ্যই দেশবাসীর জন্যও গর্বের।

ভারতীয় অর্থনীতি বলেই নয়, যে কোনও দেশের রফতানি বাণিজ্যে সুফল প্রাপ্তির মুখ দেখা মানে সে দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। কৃষি প্রধান ভারত সেই ফলনের হাত ধরেই এবার ২ অঙ্কে পৌঁছল।
ভারতের কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রফতানি বাণিজ্যে এবার যথেষ্ট বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এবার বৃদ্ধি নজরকাড়া। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ১৩ শতাংশ বেড়েছে রফতানি।
এরমধ্যে ধান রফতানি এক বড় ভূমিকা নিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ মাসে বাসমতী ও বাসমতী নয় এমন চাল মিলিয়ে ২১ শতাংশ রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে।
ফলে গত অর্থবর্ষে যেখানে বাসমতী ও বাসমতী নয় এমন চাল থেকে ৯.৩২ বিলিয়ন ডলার অর্থলাভ হয়েছিল, সেখানে এবার হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৯৪ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।
ধানের সঙ্গে এবার চা খুশির জোয়ার এনেছে ভারতীয় রফতানি বাণিজ্যে। চা রফতানি এবার ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। গত ১১ মাসে বিদেশে চা রফতানি হয়েছে ২৪৪ মিলিয়ন কেজি বা ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ কেজি।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি চা ভারত থেকে রফতানি হয়েছে ইরাকে। এছাড়া ইরান, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ ২৫টি দেশে ভারতীয় চা রফতানি হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় চায়ের ফলন কম হওয়ায় ভারত পশ্চিম এশিয়ার রাষ্ট্রগুলিতে আরও বেশি করে চা রফতানির সুযোগ পেয়েছে। যা ভারতের চা রফতানিকে এক লাফে অনেকটা বাড়িয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। ধান ও চায়ের হাত ধরে ভারতের রফতানি বাণিজ্য বিপুল মুনাফার মুখ দেখতে পেরেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা