লঙ্কার ঝাল লক্ষ্মী আনল ঘরে, রাঙা স্পর্শে হাসি কৃষকদের মুখে
টকটকে লাল ছুঁয়ে গেল হৃদয়। কৃষকদের তো বটেই, সঙ্গে সরকারেরও। সমুদ্র ঘেরা দ্বীপের ঝাল চাহিদা মিটিয়ে লক্ষ্মী এল ঘরে।

টকটক করছে লাল রং। একেবারে নজর কাড়া রূপ। তেমন গন্ধ। দূর থেকেও তার গন্ধ পাওয়া যায়। শুধুই কি রূপ আর গন্ধ! গুণের সীমা নেই তার। ভিটামিন ভরে আছে। ভিটামিন এ, সি এবং ই তার শরীর জুড়ে বাস করে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম।
একেবারে যাকে বলে রূপে গুণে মন কাড়া। নামও কেবল একটি নয়। কেউ বলেন ডাল্লে চিলি, কেউ ডাকেন ডাল্লে খুরসানি আর কেউ ডাকেন ফায়ার বল চিলি। সহজ কথায় একধরনের লঙ্কা। লাল টুকটুকে রং।
সরু লঙ্কা যেমন হয় তেমন মোটেও নয়। বরং আচারি লঙ্কার মত মোটা, প্রায় গোলাকার। যা আবার সর্বত্র হয়না। পাওয়া যায় সিকিমে।
সিকিমের এই লঙ্কার জন্য জিআই ট্যাগ পকেটে রয়েছে। আর জিআই ট্যাগ থাকলে সে জিনিসের মর্যাদা অনেকটাই বেড়ে যায়। ভারতের এই বিশেষ ধরনের লঙ্কা এবার পৌঁছে গেল প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর সলোমন দ্বীপপুঞ্জে।
জিআই ট্যাগ থাকার হাত ধরে সলোমন দ্বীপে পাঠানো এই ডাল্লে চিলি লঙ্কার জন্য এই লঙ্কার কৃষকরা কেজি প্রতি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পেয়েছেন।
সাধারণত এই লঙ্কার জন্য কেজিতে ১৮০ থেকে খুব বেশি হলে ২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন কৃষকরা। তার চেয়ে অনেক বেশি অঙ্কের মুনাফা ঘরে তুলতে পেরেছেন তাঁরা। এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা