নিছক একটা কোচিং সেন্টার। যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিত। তেমনই কোচিং সেন্টারে হানা দিয়ে হিসাব বহির্ভূত ৩০ কোটি টাকা নগদে উদ্ধার করল আয়কর দফতর। আচমকাই ওই কোচিং সেন্টার চালানো সংস্থার ১৭টি অফিসে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে ওই সংস্থার ১৫০ কোটি কালো টাকার হদিস পেয়েছেন তাঁরা। এখনও খতিয়ে দেখা চলছে। ফলে অঙ্কটা আরও বাড়তেই পারে।
তামিলনাড়ুর ওই সংস্থা দিনের পর দিন আয়কর এড়িয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছিল আয়কর দফতরের কাছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই দিল্লিতে তাদের অফিসগুলিতে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। আয়কর দফতর সূত্রে সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়েছে, নামাখাল নামে এই সংস্থা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নগদে টাকা নিত। তাও আবার ভেঙে ভেঙে। অর্থাৎ তাদের মোট কোর্স ফি তারা বেশ কয়েক খণ্ডে আদায় করত। সেই টাকা নগদে নিত সংস্থা। ছাত্রছাত্রীদের সেই টাকার রসিদও দিত তারা। কিন্তু সেই রসিদ খাতায় এন্ট্রি হত না।
ওই সংস্থা যে টাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নিত সেই টাকা তারা ব্যাঙ্কের লকারে রাখত। ব্যাঙ্কের লকার বিভিন্ন কর্মীর নামে হত। বেনামি লকারে ঠাসা থাকত নোট। সেসবই উদ্ধার করছে আয়কর দফতর। সংস্থার একটি অফিস থেকেই ৩০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়। যা তারা তখনও লকারে গোঁজার সময় পায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আরও কীভাবে এবং কত টাকা তারা কালো টাকায় পরিণত করেছে তারও হিসাব কষছেন আয়কর আধিকারিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা