পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামে বাজারে গিয়ে কার্যত দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন দেশের আম নাগরিক। অনেক বাড়ির গৃহিণীরাই এখন ব্যস্ত পেঁয়াজ ছাড়া নানা পদ রাঁধতে। ইন্টারনেটেও পেঁয়াজ ছাড়া পদের রেসিপি জানতে চেয়ে সার্চ হচ্ছে দেদার। স্বাভাবিকও বটে। কারণ পেঁয়াজের দাম দেশের অনেক জায়গায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। রাজ্যেও পেঁয়াজ অনেক বাজারে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। এই অবস্থায় দিল্লিবাসী অবশেষে পেঁয়াজের দামে সুরাহা পাওয়া শুরু করলেন।
আফগানিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ এনে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। দিল্লিতে সোমবার আফগানিস্তান থেকে ২৪ হাজার বস্তা পেঁয়াজ এসে হাজির হয়েছে। প্রতিটি বস্তায় ৫৫ কেজি করে পেঁয়াজ রয়েছে। আফগানি পেঁয়াজে ভরেছে দিল্লির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার আজাদপুর মান্ডি। এটাই দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারও। এখানে পাইকারি দর এদিন পেঁয়াজের ঘোরাফেরা করেছে ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। ফলে খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়বে। কমবে দাম বলেই মনে করছে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
শেষে ২ দিনে আফগানিস্তান থেকে যেমন পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ঢুকেছে, তেমনই দেশীয় বাজার থেকেও ঢুকেছে পেঁয়াজ। দিল্লি বলেই নয়, পঞ্জাবেও আফগান পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে ঢুকেছে। ফলে ক্রমে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। খোলা বাজারে এই দাম হয়তো মঙ্গলবার থেকে কমবে। তাও দিল্লি ও তার চারপাশে তার প্রভাব আগে পড়বে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করছে এই খবরেই বেজায় খুশি সাধারণ মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা