রাজ্যে মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সময় বাড়ল
মিষ্টির দোকানিরা জানাচ্ছেন যে সময়ে তা খোলা থাকছে সে সময়ে বিশেষ মানুষজন তাঁদের কাছে মিষ্টি কিনতে আসছেন না। ফলে ব্যবসাও তেমন হচ্ছে না।
লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মিষ্টির দোকান। মিষ্টি প্রেমী বঙ্গবাসী মিষ্টি পাচ্ছিলেন না। আবার ক্ষতি হচ্ছিল মিষ্টির দোকানগুলির এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। ক্ষতি হচ্ছিল দুধ ব্যবসায়ীদের। কারণ রাজ্যে হাজার হাজার মিষ্টির দোকানের জন্য প্রচুর পরিমাণে দুধের প্রয়োজন হয়। যা দুধ ব্যবসায়ীরা মেটান।
দুধ ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে লকডাউনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৩০ মার্চ ঘোষণা করেন রাজ্যে মিষ্টির দোকান দিনে ৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সেই সময়সীমা বৃহস্পতিবার আরও ৪ ঘণ্টা বাড়ল।
৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখলেও মিষ্টির দোকানিরা জানাচ্ছেন যে সময়ে তা খোলা থাকছে সে সময়ে বিশেষ মানুষজন তাঁদের কাছে মিষ্টি কিনতে আসছেন না। ফলে ব্যবসাও তেমন হচ্ছে না। একথা তাঁরা রাজ্য সরকারকে জানান। তারপরই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আর ৪ ঘণ্টা নয় রাজ্যে মিষ্টির দোকান ৮ ঘণ্টা খোলা রাখায় অনুমতি দিয়েছেন।
দুপুর ১২টার পরিবর্তে এবার থেকে মিষ্টির দোকান খোলা যাবে সকাল ৮টায়। তবে বন্ধ করতে হবে সেই বিকেল ৪টেতেই। ফলে সকালটা মিষ্টির দোকানে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ল। কারণ এখন মানুষ আনাজ, মাছ, মাংস, ফল, দুধ বা অন্য সামগ্রি কিনতে বাড়ি থেকে বার হচ্ছেন সকালের দিকেই। সে সময় মিষ্টির দোকান খোলা রাখলে সেখান থেকে মিষ্টি কেনার সুযোগ তাঁরা পাবেন। যা মিষ্টির ব্যবসাকেও চাঙ্গা রাখতে পারবে বলে মনে করছেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।