Business

কেজি প্রতি ১ টাকার কমে বিক্রি হল টমেটো

১ টাকারও কম দাম প্রতি কেজি টমেটোর। অন্য আনাজেরও প্রায় একই পরিস্থিতি। মান্ডিতে মাথায় হাত।

নয়াদিল্লি : টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১ টাকারও কম দামে। অন্য সবজিরও প্রায় একই অবস্থা। দাম কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে। ঝিঙে বিকচ্ছে ৬ টাকা কেজি দামে। এটাই দিল্লির আজাদপুর মান্ডির হোলসেল দাম। অর্থাৎ যেখান থেকে পাড়ার বা বাজারের আনাজ বিক্রেতারা আনাজ কিনে নিয়ে যান বিক্রি করার জন্য। সেখানে দাম পড়তে পড়তে এখন এই অবস্থায় এসে ঠেকেছে। দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে পেঁয়াজেরও। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেড় টাকা কেজি দরে।

কেন এমন অবস্থা? এশিয়ার সবচেয়ে বড় হোলসেল বাজার হিসাবে পরিচিত দিল্লির আজাদপুর মান্ডির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বাজারে হোলসেল থেকে জিনিস কেনেন মূলত খুচরো বিক্রেতারা। কিন্তু গত কদিনে তাঁদেরই দেখা মিলছে না। এই বাজারে সাধারণ সময়ে যত মানুষ মাল তুলতে আসেন তার অর্ধেকেরও এখন দেখা মিলছে না। ফলে সব সবজি সাজানো পড়ে থাকছে। কেনার লোক নেই। যার প্রভাবে এখন দাম গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। কিন্তু কেন এত কম বিক্রেতা আসছেন? তারও কয়েকটি কারণ যা সামনে এসেছে তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


আজাদপুর মান্ডি বা ওখলা মান্ডির একই দশা। এজন্য দিল্লি ছেড়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের ফিরে যাওয়াকে একটা বড় কারণ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রথমত এত মানুষ চলে যাওয়ায় চাহিদা কমেছে। দ্বিতীয়ত এঁদের অনেকে এই আনাজ বিক্রির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তাঁরা আর আসছেন না। সেইসঙ্গে দিল্লির সব রেস্তোরাঁ, ধাবা, ছোটখাটো খাবারের দোকানও বন্ধ।

এদিকে হোলসেল বাজারে যখন দাম এমন তলানিতে ঠেকেছে তখন খোলা বাজারে কিন্তু দিল্লি জুড়ে সবজির দামে বড় একটা কমেনি। ১ টাকারও কম দামে বিক্রি হওয়া টমেটো খোলা বাজারে প্রতি কেজি বিকচ্ছে ২০ টাকা কেজি বা তার বেশি দামে। অন্য সবজিরও একই অবস্থা। ফলে হোলসেল বাজারে দাম কমায় দিল্লির সাধারণ মানুষ যে তার সুবিধা পাচ্ছেন এমনটা ভাবা হয়তো ভুল হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button