জ্যোতি ৩২, আরও বাড়ার ইঙ্গিত, জানুয়ারির আগে নিস্তার নেই
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। মঙ্গলবার জ্যোতি আলুর কেজি প্রতি দামই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা। এই দাম আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত আলু ব্যবসায়ীদের।
কলকাতা : আলুর দাম হুহু করে বাড়ছে। এখনই যে জায়গায় দাম পৌঁছে গেছে তাতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। ১ কেজি আলু কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩২ টাকা। সেটাও যিনি জ্যোতি আলু কিনতে চাইছেন। আর চন্দ্রমুখী এখন কেজি প্রতি দাম ঠেকেছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। এক এক জায়গায় ৩৪, এক এক জায়গায় ৩৫ টাকা কেজি। ফলে আলু কিনতে ঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের। এতো বর্তমান পরিস্থিতি। আলু ব্যবসায়ীরা কিন্তু আরও খারাপ খবর শোনাচ্ছেন।
যে জ্যোতি আলু মঙ্গলবার ৩২ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে তার দাম সামনে আরও বাড়তে চলেছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। ফলে আলুর আরও খারাপ দামের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারেন সকলে। এ রাজ্যে নতুন আলু বাজারে আসতে আসতে জানুয়ারির শুরু। তার আগে গুলি আলু কিছু এলেও তার দাম থাকে আকাশছোঁয়া। আলুর দমের জন্য ওই আলু অল্প করে কিনে থাকেন অনেকে। কিন্তু আলু ঠিকঠাক পরিমাণ পেতে পেতে জানুয়ারির শুরু। তার আগে এখনও আলু দুর্ভোগে ৪ মাসের ভোগান্তি এখনও বাকি।
আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন এ রাজ্যে চাহিদা মেটানোর মত আলু হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্য থেকে আলু অন্য রাজ্যেও যাচ্ছে। ফলে রাজ্যে আলুর চাহিদা মত যোগান দেওয়ার আলুর অভাব রয়েছে। সেখানে টান পড়ছে। যার হাত ধরে পাইকারি বাজারে আলুর দাম চড়েই চলেছে। খুচরো ব্যবসায়ীদের যদি বেশি দাম দিয়ে বস্তা কিনতে হয় তাহলে তাঁরাও দাম বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি টাস্ক ফোর্স আলুর দাম বাঁধার কথা জানালেও সেই বাঁধা দামের আলু বাজারে নেই। ২৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু নেই। তা তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভবও নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকের রোজগার অনেক কমে গেছে। এই অবস্থায় খাবারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান আলুর দামটাও যদি এখানে চড়ে তাহলে তাঁদের পক্ষে সংসার চালানো আরও দুষ্কর হচ্ছে। কারণ আলু ছাড়া রান্না মুশকিল। খুব সাধারণ রান্না দিয়েও যদি কেউ জীবন ধারণ করতে চান তাহলেও আলুটা তো লাগবেই। সেটা এই দাম দিয়ে কেনাও এখন অনেকের কাছেই বড় সমস্যার কারণ হচ্ছে।