আলুর আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে বাজারে ইবি-র হানা
আলুর দাম এখন আকাশছোঁয়া। হাত ছোঁয়ানো দায় হয়েছে। এই অবস্থায় আলুর দামে লাগাম দিতে বাজারে বাজারে ইবি-র হানা।
কলকাতা : আলুর দাম বেড়েই চলেছে। আলু বিক্রেতাদের জিজ্ঞেস করলে মিলছে একটাই উত্তর। যোগান নেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে যখন অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের মাইনে কমে গেছে। অনেকে মাইনেই পাচ্ছেন না ঠিকঠাক। সেখানে আলুর মত নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজের দাম কী বাড়তে পারে? রাস্তাঘাটে কিন্তু আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের অনেকেই দুষছেন খোদ রাজ্যসরকারকে। বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী একই রাস্তায় হেঁটে রাজ্যসরকারকেই কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্যসরকার।
রাজ্যে আলুর দামের উর্ধ্বগতি অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে। এখন তা ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে অসম্ভব জায়গায় পৌঁছেছে। জ্যোতি আলু ১ কিলোর দাম ৩২ টাকায় ঠেকেছে। চন্দ্রমুখী কোথাও ৩৫, তো কোথাও ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে অবশ্য রাজ্যসরকারের তরফে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল জ্যোতি আলুর দাম কিলো প্রতি ২৫ টাকার মধ্যে নিতে হবে। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করেই চলছিল বেশি দামে আলু বিক্রি।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বেশ কিছু বড়বড় বাজারে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। মানিকতলা, লেক মার্কেট থেকে শ্যামবাজার বাজার, এমন অনেক বাজারেই হানা দিয়ে তাঁরা আলু বিক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জ্যোতি আলু ২৭ টাকা কেজির বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন তাঁরা। তাঁদের বেঁধে দেওয়া দামের বেশি দামে আলু বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।
শুধু আলু বলেই নয়, মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ ফেলে আনাজপাতির দামও হাতে ছেঁকা দিচ্ছে। পটলের দাম ঠেকেছে কোথাও ৭০ টাকা, কোথাও ৬০ টাকা কেজি, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা বা ৯০ টাকা কেজিতে, অন্যান্য অনেক সবজির দামই ৫০ টাকা কেজিতে ঠেকেছে। সামান্য কিছু আনাজ কিনতেই পকেট ফাঁকা হচ্ছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি কবে আপাতত সেই প্রশ্নই করছেন সকলে।