চোখে জল আটকাতে পেঁয়াজের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে পথে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজের বাড়তে থাকা দামে আম জনতার চোখে জল। দাম বাড়া আটকাতে কেন্দ্র পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর তাতেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
মুম্বই : পেঁয়াজের দাম ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। একেই আলুর দামের ধাক্কায় মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার দশা। তারমধ্যে পেঁয়াজের দামও চড়চড় করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৪০ টাকা প্রতি কেজিতে ঠেকেছে পেঁয়াজের দাম। অনেক জায়গায় তার চেয়েও বেশি দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ।
আলুর পর পেঁয়াজের লাগাম ছাড়া দাম বৃদ্ধি আরও খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছনোর আগেই কেন্দ্র পেঁয়াজ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। পেঁয়াজের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। যাতে দেশিয় বাজারে যোগান যথেষ্ট রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু সেখানেই আপত্তি মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের।
মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ বিখ্যাত। সেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা রফতানি থেকে মোটা মুনাফাও অর্জন করেন। লাসালগাঁও হল মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। সেখানেই কেন্দ্রীয় নির্দেশে ব্যবসায়ীরা ফুঁসছেন। মঙ্গলবার তাঁরা পেঁয়াজ হাইওয়ের ওপর ছড়িয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তাঁদের দাবি, যে রফতানি থেকে মুনাফা আসছে, সেই রফতানি বন্ধ করে কেন্দ্র তাঁদের রোজগার বন্ধ করতে চাইছে।
পরিস্থিতি বুঝে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এদিন কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে। অবিলম্বে পেঁয়াজ রফতানি ফের চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার করেন শরদ পাওয়ার।
শরদ পাওয়ার দাবি করেন ভারতের পেঁয়াজের বিদেশের বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। যদি পেঁয়াজ রফতানি ঠিকমত করা যায় তাহলে মুনাফা এই করোনা পরিস্থিতিতেও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটাবে। তেমনই পাকিস্তানের মত পেঁয়াজ রফতানি কারক দেশগুলিকে বিদেশি বাজার দখলের রাস্তা খুলতে দেবেনা।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অবশ্য জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে ফের কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
কিন্তু যখন ভারতীয় বাজারে চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। দাম চড়ছে। তখন এভাবে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা না ভেবে, দেশবাসীর সুবিধার কথা না ভেবে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার রাস্তা প্রশস্ত করা কী সঠিক সিদ্ধান্ত হবে? সে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন মহল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা