এবার জুতোর বাজারে পা গলাল খাদি
জুতোর বাজারে এবার পা রাখল খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নানা ডিজাইনের জুতো আনল এই দেশিয় সংস্থা।
নয়াদিল্লি : খাদি ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন সাধারণ মানুষের কাছে খাদি গ্রামোদ্যোগ নামেই পরিচিত। আর খাদি মানেই নিখাদ দেশিয় জিনিসপত্র। সাধারণভাবে খাদির পোশাকের একটা চাহিদা এ দেশে এখনও আছে। এমনকি বিদেশেও রয়েছে।
এখনকার ফ্যাশন ডিজাইনাররা খাদি বস্ত্রকে সামনে রেখে ফ্যাশন শো আয়োজন করছেন। খাদি অবশ্য শুধুই পোশাক নয় আরও কিছু জিনিস তৈরি করে থাকে। এবার সেই খাদি নিয়ে এল জুতো।
ভারতের জুতোর বাজার বিশাল। ৫০ হাজার কোটির জুতোর বাজার হল ভারত। এই বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব তৈরি করতে চাইছে খাদি। বুধবার তারা সামনে আনল পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নানা রকমারি জুতোর সম্ভার।
প্রথম বছরে খাদির লক্ষ্য ১ হাজার কোটির জুতো বিক্রি। সেই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে একদম উৎসবের মরসুমে তারা বাজারে আনল খাদির বিশাল জুতোর সম্ভার।
বুধবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রী নিতিন গডকরী খাদির এই জুতোর রেঞ্জের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান বিশ্বের জুতোর বাজার হল ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার। খাদির এই সম্ভার সারা বিশ্বেই চাহিদা তৈরি করবে। আগামী বছরগুলিতে খাদি ৫ হাজার কোটি টাকার বাৎসরিক ব্যবসা পাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন গডকরী।
নিতিন গডকরী পরামর্শের সুরেই জানান, খাদির উচিত মানিব্যাগ, ওয়ালেট, মহিলাদের ব্যাগ এগুলি তৈরি করা। কারণ এগুলির ইউরোপীয় বাজারে প্রচুর চাহিদা আছে। ফলে এগুলি তৈরি করতে শুরু করলে খাদি বিদেশে বড় বাজার পেতে পারে। অন্যদিকে খাদির জুতোকে দেশের অন্যতম বিশেষত্ব বলে ব্যাখ্যা করেছেন গডকরী।
খাদির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিশ্বে খাদির একটা চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া ইউরোপের অনেক দেশই ভেগান হয়ে যাচ্ছে। সেখানে চামড়াহীন জুতোর একটা চাহিদা রয়েছে। সেখানে খাদির এই চামড়াহীন জুতোর একটা বাজার নিয়ে আশাবাদী তাঁরা।
খাদির এই উদ্যোগের পিছনে যে তাদের বিশ্বের বাজার ধরার একটা লক্ষ্য লুকিয়ে রয়েছে তা পরিস্কার। যা হয়তো আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকেই আরও কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা