সরষের রেকর্ড উৎপাদনে সরষের তেলের দাম কমার আশায় মধ্যবিত্ত
সরষের তেলের দাম কার্যত মধ্যবিত্তের মাথায় হাত ফেলেছে। দেশে এবার রেকর্ড পরিমাণ সরষে উৎপাদিত হয়েছে। তবে কি এবার দাম কমবে সরষের তেলের, সে প্রশ্ন উঠছে।
পেট্রোল, ডিজেলের মতই সাধারণ মানুষের হেঁশেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সরষের তেল তো বটেই, সেইসঙ্গে বেড়েছে সয়াবিন বা সূর্যমুখী সহ প্রায় সব তেলের দাম।
অনেকেই তেল কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। মাঝে সামান্য কমলেও দাম ফের এখন উর্ধ্বমুখী। সামনে উৎসবের মরসুম থাকায় দাম যে কমবে এমনটাও আশা করছেননা কেউ। বরং বাড়ার আশঙ্কাতেই সিঁটিয়ে আছেন সকলে।
এসবের মধ্যেও একটা আশার আলো দেখা গেছে। এ বছর সরষের উৎপাদন ভারতে রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। সরষের মূল ব্যবহার সরষের তেল তৈরিতে। সরষের যোগান যদি যথেষ্ট থাকে তাহলে সরষের তেলের দাম কমার একটা আশা জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে।
করোনার জেরে এখন বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকের রোজগার কমেছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের মাথায় হাত ফেলেছে।
খতিয়ান বলছে ভারতে যোগান ও চাহিদার মধ্যে ফারাক বিস্তর। দেশে যে পরিমাণ ভোজ্য তেল দরকার পড়ে তা পূরণ করতে ৬০ শতাংশ ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয়।
যার মধ্যে পাম অয়েল আনতে হয় ৫৪ শতাংশ। যা মূলত আনা হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। সয়াবিন অয়েলের প্রয়োজন মেটাতে ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেলের প্রয়োজন পূরণ করতে ১৯ শতাংশ আমদানি করতে হয় ইউক্রেন থেকে।
এখন সরষের বিপুল ফলন দেশেই তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে সরষের তেলের দাম কমাতে পারে কিনা সেদিকেই নজর থাকছে সকলের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা