পুজোর মুখে পেঁয়াজে ছেঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত
পুজোর মুখে এবার পেঁয়াজের দামে ছেঁকা খাওয়া শুরু হয়ে গেল। দোকানিদের দাবি আরও বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম। যা মধ্যবিত্তের মাথায় হাত ফেলেছে।
কথায় বলে রসেবশে বাঙালি। খাদ্য রসিক বাঙালির হেঁশেলে পদের সংখ্যা অচিরেই বেড়ে যায় উৎসবে। আর সামনে তো বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। যে দিনগুলোর অপেক্ষায় সারা বছর দিন গোনে বাঙালির মন। সেই উৎসবে এসে পড়েছে।
আর উৎসবের আনন্দকে চেটেপুটে উপভোগ করার জন্য বাঙালি জীবনে মন ভাল করা খাবার চেটেপুটে খাওয়াটা আবশ্যিক। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন বাসনার সেরা বাসা রসনা।
উৎসবে বাঙালি কোলেস্টেরল, সুগার, ডায়াবেটিস সব ভুলে মেরে দেয়। এই সময় একটু মুর্গি, মটনে কব্জি না ডোবালেই নয়! আর এসব রান্নায় পেঁয়াজ লাগবেই।
এছাড়াও নানা পদকে সুস্বাদু করে তুলতে পেঁয়াজ আবশ্যিক। সেই পেঁয়াজের দাম এবার উর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যেই কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, এই দাম এখানেই থেমে থাকবে না। তা আরও বাড়তে পারে।
এমনিতেই আনাজের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পুজোর মুখে পটল, ঝিঙে, টমেটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, বিনস, গাজর সবেরই দাম বেড়ে রয়েছে। বাজারে নতুন আসা ফুলকপির দামও আকাশ ছোঁয়া। দাম বাড়তে শুরু করেছে আদারও।
সব মিলিয়ে করোনা আবহে পুজোয় তেমন ঘোরাঘুরি না করে আয়েশ করে যে মধ্যবিত্ত বাঙালি রসনায় মন দেবেন তারও উপায় নেই।
এমনিতেই গ্যাসের দাম সব সীমা পার করে গেছে। সরষের তেল থেকে সূর্যমুখী বা সয়াবিন তেলের দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে।
করোনায় অনেকের রোজগার কমেছে। কিন্তু জিনিসের দামে হাত ছোঁয়ানো মুশকিল হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম।