৪টি কারণে লক্ষ্মীপুজোর মুখে কালঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের
দুর্গাপুজো শেষের আগেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর বলছে লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজারে আগুন।
দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বারোয়ারির সঙ্গে সঙ্গে অনেক বাড়িতেও হয়। ফলে জমে ওঠে বাজার।
লক্ষ্মী প্রতিমা কেনা, লক্ষ্মী প্রতিমার সাজ কেনা, পুজোর খুঁটিনাটি কেনা, ফল কেনা, আনাজ কেনা সবই এক এক করে সেরে ফেলেন গৃহস্থেরা।
প্রতিবছরই লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার দরে আগুন লাগে। এবার যেন সেই আগুনের তেজ আরও বেড়েছে। ফল, আনাজ কিছুতেই হাত ছোঁয়াতে পারছেন না মধ্যবিত্ত মানুষজন।
মূলত ৪টি কারণকে সামনে রেখে আনাজের বাজার অগ্নিমূল্য। এক, এবার বর্ষা বিদায় নিতে দেরি করেছে। ফলে বৃষ্টি চলতে থাকায় আনাজ, ফলের ক্ষতি হয়েছে।
দুই, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি খাদ্য সামগ্রির ক্ষতি করেছে। তিন, জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। যা পরিবহণের খরচ বাড়িয়েছে। ফলে আনাজ, ফলের দাম বেড়েছে।
আর চার, উৎসবের মরসুমে আনাজ, ফলের দাম এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে চড়া হয়। তা এবার আরও চড়েছে বাকি ৩ কারণে। যোগফল যা দাঁড়িয়েছে যে বাজারের থলি কার্যত ফাঁকাই ফিরছে বাজার থেকে।
ফুলকপি ৫০ টাকা পিস, মাচার পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, অন্য আনাজগুলিও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে ঘোরাফেরা করছে।
পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফলের দাম। সেইসঙ্গে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ফলে নিত্যদিনের রান্নাবান্নার প্রয়োজনীয় আনাজ কিনতেই হিমসিম খাচ্ছেন মানুষজন। তার ওপর যাঁদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয় তাঁদের তো আরও মাথায় হাত পড়েছে।
যা বাজেট করেছিলেন তা অনেক ক্ষেত্রে ছাপিয়ে গেছে দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে পরিস্থিতি বেজায় খারাপ। তারমধ্যে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা লক্ষ্মীপুজোর বাজারকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে।