১৪ বছর পর বাড়ল দেশলাইয়ের দাম
১৪ বছর ধরে অনেক কিছুর দাম বেড়েছে। অনেক কিছুর দাম ৩ গুণ, ৪ গুণও বেড়েছে এই ১৪ বছরে। কিন্তু দেশলাইয়ের দাম বাড়েনি। এবার তা বাড়ল।
দেশলাইকাঠি জিনিসটার ব্যবহার কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে প্রশ্নাতীত। আপাত মামুলি বস্তুটির ব্যবহারিক প্রয়োজন এতটাই যে সেটি না থাকলে বোঝা যায় তা কতটা কাজে লাগে।
এই দেশলাইকাঠির বাক্সের দাম কিন্তু ১ টাকাই রয়ে গিয়েছিল ১৪ বছর ধরে। অবশেষে ১৪ বছর পর দেশলাইকাঠির দাম বাড়ল। ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে দাম। ফলে এবার দেশলাইয়ের বাক্সের দাম ২ টাকা দিতে হবে।
এখানে বলে রাখা ভাল যে দেশলাইকাঠির দাম ১ টাকা হয়েছিল ১৪ বছর আগে। তারও ১৪ বছর আগে তার দাম ধার্য হয়েছিল ৫০ পয়সা। সেই ৫০ পয়সাই ছিল ১৪ বছর ধরে। সেদিক থেকে দেখলে প্রতি ১৪ বছরে দেশলাইকাঠির বাক্সের দাম দ্বিগুণ হচ্ছে।
দেশলাইকাঠির বাক্সের দাম যে বেড়েছে তা কিয়দংশে মানতে নারাজ দেশলাইকাঠি তৈরির সংস্থাগুলি। তাদের সংগঠন জানাচ্ছে দেশলাইকাঠির সংখ্যা বাক্সে বাড়ানো হচ্ছে। বাক্সেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ফলে সেদিক থেকে দাম বাড়ল কই!
তারা অবশ্য এটাও মেনে নিচ্ছে যে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। দেশলাইকাঠি ভরে একটি বাক্স তৈরি করতে লাগে বোর্ড। যার দাম ৩৫ টাকা কেজি থেকে ৫৪ টাকা কেজি হয়েছে। পটাশিয়াম ক্লোরেট ৬৫ টাকা কেজি থেকে ৮৪ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে।
ফসফরাস ৪৩০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৮৩০ টাকা কেজি। এছাড়া কাঠির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ ইউরোপ থেকে আসে। তার দামও অনেকটাই বেড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা