সুপ্রিম নির্দেশ পেলেও বাজি বাজার বসছে না
অনেকের আশা ছিল সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর বাজি বাজার বসবে। শেষ মুহুর্তে হলেও কিছু বাজি তো কেনা যাবে। কিন্তু সে আশা পূরণ হল না।
সবচেয়ে বেশি মুখিয়ে ছিল কচিকাঁচারা। বাজির রোশনাইয়ের জন্য সারা বছর দিন গোনে তারা। গত বছর করোনার জন্য বাজি পোড়ানো হয়নি। তাই ভেবেছিল এ বছর সুদেআসলে উসুল করে নেবে বাজি পোড়ানোর আনন্দ।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট যে কোনও ধরনের বাজি পোড়ানো বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর সে সম্ভাবনা ছিলনা। কিন্তু তারপরেই গত সোমবার ফের আশার আলো জেগেছিল অনেকের মনে।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কে নাকচ করে জানিয়ে দেয় সব বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা নয়, পোড়ানো যাবে পরিবেশ বান্ধব বাজি। কিন্তু সেই বাজিই বা চিহ্নিত হবে কিভাবে?
এসব নিয়ে টানাপোড়েন চলে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন বাজি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশ পাওয়ার পরও সময়ের অভাবে বাজি বাজার বসতে পারল না।
এবার স্থির হয়েছিল সিঁথির সার্কাস ময়দানে বাজি বাজার বসবে। কিন্তু তাও হল না। বুধবার ভূতচতুর্দশীর দিন অবশেষে হতাশ বাজি ব্যবসায়ীরা জানিয়ে দিলেন এবার বাজি বাজার বসছে না। লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি নষ্ট হয়ে গেল তাঁদের।
বাজি বাজার না বসলেও বুধবার কিন্তু শহরের অনেক জায়গায় ছোট ছোট বাজির দোকান নজর কেড়েছে। সেখানে ফুলঝুরি, রংমশাল, চরকি বিক্রি হয়েছে।
রংবাহারি এসব বাজিকে বিক্রেতারা মনে করছেন পরিবেশ বান্ধব বাজি। তবে কারও কাছে শব্দ হয় এমন বাজি ছিলনা। আপাতত কোনও সঠিক গাইডলাইন হাতে না এলেও পরিবেশ বান্ধব বাজি বলতে এখন শব্দ বাজি নয় এমন সব বাজিকেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সেসব দোকানে বুধবার বেশ ভিড়ও নজরে পড়ে।