জমিতে ফলছে কুমকুম ঢেঁড়স, কৃষকের ঘরে আনন্দের জোয়ার
কৃষকরা রোদ, জল, বৃষ্টি ভুলে রাত দিন এক করে ক্ষেতে পড়ে থাকেন যাতে তাঁদের ফসল সোনা ফলায় সেই আশায়। সেই সোনাই ফলাচ্ছে কুমকুম ঢেঁড়স।
ঢেঁড়স বেচে যে কৃষকের ঘরে সোনা ফলতে পারে সেটা ভাবতে পারতেন না খোদ কোনও কৃষকও। সবুজ ঢেঁড়সের চাহিদা থাকলেও তা বিক্রি করে গড়পড়তা একটা মুনাফাই ঘরে তোলেন তাঁরা। কিন্তু ঢেঁড়স সবুজ থেকে লাল হতেই বদলে গেল ভাগ্য।
লাল ঢেঁড়স ফলাতে এখন অনেক কৃষকই মুখিয়ে আছেন। লাল ঢ্যাঁড়সের ফলন আগে হতনা। সবে শুরু হয়েছে। এবার উত্তরপ্রদেশের হাপুর বা সীতাপুরের কৃষকরা অনেকেই লাল ঢেঁড়স নিয়ে উৎসাহী।
যেখানে সবুজ চিরাচরিত ঢেঁড়স বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে, সেখানে লাল ঢেঁড়স বা কুমকুম ঢেঁড়সের কেজি প্রতি দাম পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই কুমকুম ঢেঁড়স উৎপাদনের জন্য আরও বেশি জমি বরাদ্দ করতে চাইছেন কৃষকরা।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কুমকুম ঢেঁড়সে থাকে ৯৪ শতাংশ পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। থাকে ৬৬ শতাংশ সোডিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে কাজ করে।
এতে থাকে ২১ শতাংশ আয়রন, যা অ্যানিমিয়া থেকে মানুষকে দূরে রাখে। এছাড়া এর ফাইবার সুগার বাড়তে দেয়না। থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
ফলে এটা পরিস্কার যে লাল ঢেঁড়সের খাদ্যগুণ অনেক সবজিকেই পিছনে ফেলে দিতে পারে। ফলে এই লাল সবজি একটি সুপার ফুড হিসাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। ফলত স্বাভাবিকভাবেই এখন শরীর সচেতন মানুষের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে এই নয়া কুমকুম ঢেঁড়স। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা