গোবর দিচ্ছে কোটি টাকা রোজগারের সুযোগ
গরুর গোবর যে অর্থনীতির হাল ফেরাতে পারে তা ভাবা যেত না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। একটি রাজ্যের অর্থনীতির হাল ফিরিয়ে, বেকারত্ব মুছে নতুন আলো দেখাচ্ছে গোবর।
গোবরে যে লুকিয়ে আছে সমৃদ্ধির আলো তা বোধহয় বিশ্বাস হতনা ছত্তিসগড়কে না দেখলে। একটা রাজ্যের অর্থনীতিতে যে গোবরও প্রভাব ফেলতে পারে, বহু বেকারকে রোজগারের স্বপ্ন দেখাতে পারে তাও না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হত। কিন্তু এটাই হয়েছে।
ছত্তিসগড়ে এখন বহু মানুষ গোবরের কৃপায় করে খাচ্ছেন। পেট চালাচ্ছেন পরিবারের। ছত্তিসগড়ে সরকারি হিসাবে ২ লক্ষ ৮০ হাজার গোপালক নথিভুক্ত রয়েছেন।
সরকার গোধন ন্যায় যোজনা বলে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় অনেকগুলি গোচারণ ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে নতুন করে। এখানে গোপালকদের গরুর দেওয়া গোবর ২ টাকা কেজি দরে কিনে নেওয়া হয়।
এই গোবর কিনে নেওয়ার পর তা থেকে নানা জিনিস তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে গোবর সার, মাটির পাত্র তৈরির কাজে গোবরের ব্যবহার, ধূপ তৈরি, গোবর ও মাটি দিয়ে নানা আকারের পাত্র তৈরি করা এবং গোবরের লম্বা লাঠি তৈরি করা।
এছাড়া ঘুঁটেও জ্বালানির কাজে ব্যবহার হয়। আবার হোমযজ্ঞেও কাজে লাগে। সব মিলিয়ে গোবর থেকে নানা জিনিস তৈরি করা হচ্ছে।
৫৯ লক্ষ কুইন্টাল গোবর সংগ্রহ করা হয়েছে গোপালকদের কাছ থেকে। এরমধ্যে শুধু সার তৈরিতেই লেগেছে সাড়ে ১৪ লক্ষ কুইন্টালের বেশি গোবর। যা থেকে ৪৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
এভাবেই অন্যান্য জিনিস তৈরি করে অনেকেই আয়ের মুখ দেখছেন। মহিলাদের এই কাজে উপস্থিতি লক্ষণীয়। এতে তাঁরা পরিবারের জন্য রোজগারও করতে পারছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা