Business

খুলল মোটা রোজগারের পথ, জঙ্গলই দিচ্ছে অর্থ

ঘন জঙ্গলেই তাঁদের রাতদিন কাটে। সেখানেই তাঁদের সাজানো সংসার। এবার সেই জঙ্গল কেবল তাঁদের নিশ্চিন্ত বাসস্থানই নয়, রোজগারেরও পথ দেখাল।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও জঙ্গল বা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বসবাস করেন। সংসার নিয়ে তাঁদের মত করে সেখানে বাঁচেন তাঁরা। ঘন জঙ্গলের গাছপালা তাঁদের প্রতিটি মুহুর্তের সঙ্গী। জীবনের সঙ্গী।

জঙ্গলের গাছেরা তাঁদের চেনে, তাঁরা চেনেন গাছদের। বন্য প্রাণকেও কীভাবে সামাল দিতে হয় তা তাঁদের ছোট ছোট শিশুও জানে।


এই জঙ্গলই তাঁদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। কিন্তু শুধু আশ্রয় হলেই তো হবে না, রোজগারও দরকার। সেই রোজগারের জন্য আদিবাসী মহিলারা বেছে নিলেন তাঁদের চেনা জঙ্গলকেই। প্রকৃতিই যোগান দিল তাঁদের ভাল রোজগারের রাস্তার।

Health Tips


তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার গহন অরণ্যে বসবাসকারী আদিবাসী মহিলাদের ১২ জনের একটি সমবায় তৈরি হয়েছে। যেখানে বিক্রি হচ্ছে জঙ্গলের দ্রব্য। যা সংগ্রহ করছেন এই ১২ জন।

নীলাকোট্টাই কাট্টনায়কন ওমেনস কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অপারেটিভ জন্ম নিয়েছে গত ২১ জানুয়ারি। যার লক্ষ্যই হল মানুষের কাছে জঙ্গলের কিছু খাঁটি দ্রব্য পৌঁছে দেওয়া। যার হাত ধরে রোজগারের মুখ দেখা।

তাঁদের মূল বিক্রির উপাদান হল মধু। জঙ্গলের খাঁটি মধু বিক্রি করছেন তাঁরা। এছাড়াও তাঁদের সমবায় থেকে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা হলুদ, আদা, আমলকি, বিভিন্ন কন্দ এবং ভেষজ গাছগাছড়া। সবই তাঁরা সংগ্রহ করছেন জঙ্গল থেকে।

Health Tips

অনেক সময় আদিবাসী পুরুষরা যাঁরা জঙ্গলে এসব সংগ্রহ করতে যান তাঁদের কাছ থেকে তা তাঁরা সমবায়ের জন্য কিনে নিচ্ছেন। আর এভাবেই জঙ্গলের হাত ধরে জঙ্গলের বাসিন্দারা খুঁজে পেয়েছেন তাঁদের রোজগারের রাস্তা।

মধু হোক বা ভেষজ গাছগাছড়া বা হলুদ, আদা, মানুষ খাঁটি টাটকা পেতেই পছন্দ করে। ফলে এই সমবায় খুব দ্রুত মোটা রোজগারের মুখ দেখবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button