গভীর রাতে দিশেহারা অবস্থায় জন্ম নেয় জিভে জল আনা বাটার চিকেন
সে কাহিনি শুনলে অনেকেই হতবাক হয়ে যেতে পারেন। এমনই টানটান সে কাহিনি। তবে সে রাতেই জন্ম হয়েছিল বিশ্বখ্যাত জিভে জল আনা খাবার বাটার চিকেনের।
বাটার চিকেন খাবারটা খুব কম মানুষই হয়তো আছেন যাঁদের পছন্দ নয়। ভারত বলে নয়, ভারতের এই মুরগির মাংসের রান্না পছন্দ করেন আপামর বিশ্ববাসী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁয় বাটার চিকেন পাওয়া যায়। সেই খাবার কিন্তু জন্ম নিয়েছিল দিল্লির এক গলির রেস্তোরাঁয়। তাও আবার মাঝরাতে। দিশেহারা অবস্থাই জন্ম দিয়েছিল এই পৃথিবী কাঁপানো খাবারের।
সেদিন অনেক রাত। দেশভাগের পর পেশোয়ার থেকে দিল্লি চলে আসা রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী কুন্দন লাল গুজরাল তাঁর মোতি মহল নামে যে রেস্তোরাঁটি দিল্লিতে খুলেছিলেন সেখানে হাজির হন এক ভিআইপি ব্যক্তিত্ব।
রেস্তোরাঁ অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ভিআইপি বলে কথা। তাঁকে তো ফেরানো যাবেনা। তিনি আবার ওই রাতেই চিকেনের কোনও ভাল একটা পদ খেতে চাইলেন।
অগত্যা দোকানের যিনি বাঁধুনি ছিলেন তিনি রান্নাঘরে প্রবেশ করেন। গিয়ে দেখেন কিছুটা তন্দুরি চিকেন কেবল বেঁচে আছে রান্নাঘরে। আর রয়েছে মাখন, টমেটো আর গরম মশলা।
এই দিয়ে কি করা যায়? রাঁধুনি তখন স্থির করলেন কেমন খেতে হবে জানা নেই তবে হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে তিনি একটি পদ রাঁধবেন।
তিনি যথেষ্ট পরিমাণ মাখন, টমেটো আর গরম মশলা আর ওই বেঁচে থাকা তন্দুরি চিকেনের টুকরো দিয়ে রেঁধে ফেলেন একটি পদ। তারপর তা ওই ভিআইপি-কে খেতে দেওয়া হয়।
সেই রান্না খেয়ে ওই ব্যক্তি ভীষণ খুশি হন। রান্নাটির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। কুন্দন লাল গুজরাল দেখেন তাহলে তো এ পদটি তাঁর রেস্তোরাঁর একটি মেনু করলে মন্দ হয়না।
তারপর মোতি মহলে শুরু হয় নতুন একটি ডিশ বাটার চিকেন। সেই রাতে আচমকাই তৈরি হওয়া সেই পদ এখন বিশ্বজুড়ে জিভে জল আনা জনপ্রিয় পদগুলির একটি।