পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, বিজয়া দশমীর দিন সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বিসর্জন দেওয়া যাবে। তারপর দিন মহরম থাকায় ওদিন কোনও বিসর্জন যাবে না। তারপর দিন থেকে ফের যথারীতি বিসর্জন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় কয়েকটি সংগঠন। সেই মামলায় হাইকোর্ট এদিন রাজ্যের নির্দেশিকা বাতিল করে দিল। আদালত জানিয়েছে, বিজয়া থেকে ভাসান দেওয়া যাবে। ভাসান হবে রাত ১২টা পর্যন্ত। ভাসান হবে একাদশীর দিনও। মহরমের দিন বিসর্জনে আপত্তির কী আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন কার্যত রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি ও বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত এদিন জানায়, রাজ্য সরকার নিজেই বলছে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। তবে এত ভয় কিসের? রাজ্য সরকার চরম পদক্ষেপ শুরুতেই গ্রহণ করেছে বলেও জানায় আদালত। একাদশীর দিন মহরম পরায় যাতে দুই সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারে তার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওদিন যথেষ্ট পুলিশি বন্দোবস্ত রাখারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মহরম ও বিসর্জনের ধর্মীয় রীতি পালনে যাত্রার রুট আলাদা রাখার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুটি যেন কখনই এক রুটে না এসে পড়ে সেদিকে নজর রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এরপর পরই নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। সব ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের তরফে করা হবে।