মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ডিলিট দেওয়ায় কোনও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। এই যুক্তিকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়ার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দেওয়া নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। চলছিল হাসিঠাট্টা, কটাক্ষ। সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধিতারও। ডিলিট গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণেও সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেই ফেলেন যে যা চলছিল তাতে এই ডিলিট তিনি গ্রহণ করবেন কিনা তা নিয়ে নিজেই সন্দিহান ছিলেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জোরাজুরিতে অবশেষে রাজি হন। মুখ্যমন্ত্রীর গলায় আবেগের পাশাপাশি ছিল চাপা অভিমানও।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দেওয়ার পর জনৈক শিক্ষাবিদ রঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায় এই ডিলিট প্রদানের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এদিন সেই মামলাই খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।