ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯ টা। এত সকালে স্বাভাবিক নিয়মেই তখনও ব্যস্ততা ছড়ায়নি কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে। কোর্টের অনেক কক্ষই বন্ধ ছিল। আচমকাই কোর্টের সেনেটারি বিল্ডিংয়ের দোতলায় আগুনের ফুলকি চোখে পড়ে কয়েকজনের। দোতলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির কক্ষ থেকেই বেরচ্ছিল সেই ফুলকি। আগুন লাগার খবরে নিমেষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কোর্ট চত্বরে। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় দমকলবাহিনীকে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন গিয়ে পৌঁছয়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন দমকলকর্মীরা।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই সম্ভবত আগুন লেগে যায় ২৮ নম্বর কক্ষে। সেই আগুন ধরে যায় বিচারপতির চেম্বারের আসবাবপত্র ও এসি মেশিনে। আগুনে পুড়ে গেছে বেশ কিছু জরুরি নথিও। তবে দমকলবাহিনীর তৎপরতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। চেম্বারে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সকালবেলা বন্ধ ছিল বিচারপতির নিজস্ব কক্ষ। বন্ধ ছিল এসি-ও। তাহলে কিভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চেম্বারের ভিতর আর কোনও ফায়ার পকেট আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।