পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আরও ১ দিন বাড়ল। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে সওয়াল হওয়ার পর ফের আগামী বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি। আর তার সাথেই ১ দিন বেড়ে যায় আগের দেওয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।
মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হওয়া পঞ্চায়েত মামলার প্রায় আড়াই ঘণ্টার শুনানি শেষ হয় বিকেলে। এদিন পুরো সময় তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন। সেখানে বিভিন্ন সময়ে আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যারমধ্যে সুপ্রিম কোর্টেরও বেশ কিছু রায় ছিল। সওয়ালের মোদ্দা কথা ছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়া যখন শুরু হয়ে গেছে তখন আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। এই ধরণের মামলাই তাই আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। পাল্টা অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার প্রশ্ন করেন কেন আদালতে এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয় তা কল্যাণবাবুকে ব্যাখ্যা করতে। যদি এটা গ্রহণযোগ্য মামলা নাই হবে তবে কেন সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠাল? অর্থাৎ বিচারপতি পরিস্কার করে দেন কল্যাণবাবু যাই বলুন না কেন এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। তাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিনও ধার্য করেন তিনি। তার সাথেই এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ আরও ১ দিন বেড়ে গেল। এদিন কেবল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন। আগামী বুধবার বাকিদের তরফ থেকেও সওয়াল শুনবে আদালত।
প্রসঙ্গত অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন ও মনোনয়ন দাখিল সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দলগুলি। সেই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। গত সোমবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সিঙ্গল বেঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল ও কমিশন। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সব শুনে ফের সেই মামলা ফেরত পাঠায় সিঙ্গল বেঞ্চে। ফলে মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানে এদিন সওয়াল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।