অবাধ পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে বিরোধীদের করা মামলায় কার্যত তাঁদের দাবিকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে সপ্তাহভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে শুক্রবার বিকেলে রায় শোনান বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেখানে বিচারপতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গত ১০ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়ে আরও একদিন মনোনয়ন দাখিলের দিন ঘোষণার নির্দেশ দেন। কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পরবর্তী দিনটি কবে হবে তা রাজ্য সরকার ও অন্য পার্টিদের সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া ভোটের নতুন দিন ঘোষণার কথাও পরিস্কার করে দেয় আদালত। এদিনের রায়কে রাজ্য সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা হিসাবেই দেখছেন সকলে।
এদিন রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকেই বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। তা এদিন হাইকোর্ট মেনে নেয়নি। তাই এ জয় তাঁদের জয়। যদিও কল্যাণবাবুর এই দাবিকে নস্যাৎ করে পাল্টা বিজেপির নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা এদিন হেরেছেন তাঁরা চিৎকার করে পরাজয় ঢাকার চেষ্টা করছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও দাবি করেন এদিনের রায় তৃণমূল সরকারের নৈতিক পরাজয় ছাড়া আর কিছু নয়। প্রায় একই দাবি সিপিএমেরও। এদিনের রায়কে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন পিডিএস নেতা সমীর পুততুন্ড।
এদিনের পঞ্চায়েত নির্বাচনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁরা এদিনের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে প্রবল গরম আর আসন্ন রমজান মাসকে মাথায় রেখে ভোট করার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান তিনি। এদিকে এদিনের রায়ের বিরুদ্ধে যে তাঁরা আর ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন না তা এদিনই পরিস্কার করে দিয়েছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।