পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন পেশের দিন একদিন বাড়িয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২৩ এপ্রিল ছিল সেই দিন। ওদিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা। সে সময়ে যে কজন ইচ্ছুক প্রার্থী ই-মেল মারফত মনোনয়নপত্র পাঠিয়েছেন তা গ্রহণ করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সিপিএমের তরফে করা ই-মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় আদালত।
ঐতিহাসিক এই রায়কে বড় জয় হিসাবেই দেখছে সিপিএম। সিপিএমের দাবি, তাঁদের ৮০০-র মত ই-মনোনয়ন জমা পরেছে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যতগুলি মনোনয়ন জমা পরেছে তারমধ্যে ২৩ এপ্রিল বিকেল ৩টের মধ্যে পৌঁছন মনোনয়নই গ্রহণ করবে কমিশন। এগুলির স্ক্রুটিনি করে যেগুলি বৈধ তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। নতুন নাম ব্যালট পেপারে ঢোকাতে হবে। তারপর ছাপতে হবে ব্যালট। আদালত জানিয়েছে, এতে ভোটারদের পছন্দের সুযোগ অনেকটাই বাড়বে। কমবে হানাহানি ও অভিযোগ। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে কমিশনকে পরামর্শ দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার কোনও রাজনৈতিক দলের নেই।
এদিনের এই রায়ের ফলে ই-মনোনয়নের স্ক্রুটিনি করে তারপর নতুন করে ব্যালট ছেপে আগামী ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এত কম সময়ের মধ্যে সব ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরমধ্যেই আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছেন, আগামী ১৪ মে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে তা প্রস্তাব মাত্র। কোনও চূড়ান্ত দিন ঘোষণা হয়নি। যতক্ষণ না আদালত বলবে,ততক্ষণ নির্বাচন নয় বলেও জানিয়ে দেন কমিশনের আইনজীবী।