রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের জন্য সুখবর। ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বা মহার্ঘভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের আইনি অধিকার বলে এদিন পরিস্কার করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন কার্যত ‘স্যাট’ বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণকে নাকচ করে দিয়েছে।
ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। ডিএ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার। এই দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ’ স্যাটের দ্বারস্থ হয়। স্যাট জানায়, তা নয়। নিয়োগকর্তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে ডিএ। অর্থাৎ রাজ্য সরকার চাইলে ডিএ দেবে। নচেৎ নয়। স্যাটের এই পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন। সেই মামলা ১৭ মাস ধরে চলে। অবশেষে শুক্রবার সেই মামলায় রায় জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। স্যাটের পর্যবেক্ষণকে নাকচ করে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে ডিএ সরকারি কর্মচারিদের আইনি অধিকার। স্বভাবতই এই রায় সামনে আসার পর রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা বেজায় খুশি। এটাকে ঐতিহাসিক জয় বলেই ব্যাখ্যা করছেন তাঁরা।
আরও ২টি বিষয় নিয়েও রাজ্য সরকারি কর্মচারি সংগঠন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এক, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের সঙ্গে তাঁদের ডিএ-র ফারাক বিশাল। কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের মত সমান হারে ডিএ পাবেন না? দুই, দিল্লি বা চেন্নাইতে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা বেশি ডিএ পান। তাহলে কেন সব রাজ্য সরকারি কর্মচারির ক্ষেত্রেই এক নিয়ম বলবত হবে না? কেন রাজ্য সরকারি কর্মচারি হয়েও কেউ বেশি ডিএ ভোগ করবেন আর কেউ কম? এই ২টি বিষয় ফের স্যাটের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। স্যাটকে নির্দেশ দিয়েছে যেন তারা ২ মাসের মধ্যে এই ২টি প্রশ্নের যথাযোগ্য সুরাহা করে। এদিকে তাদের বক্তব্য প্রকাশের জন্য এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে ৩ সপ্তাহ ও রাজ্য সরকারি সংগঠনের জন্য ১ সপ্তাহ সময় ধার্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।