রাজ্যের ২৮ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই ঘোষণা ঘিরে অসন্তোষের মেঘ জমছিল রাজ্যের আমজনতার মধ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, রাজ্য সরকারই বলছে রাজকোষ শূন্য। তাই যদি হবে তবে কেন এই টাকা পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হচ্ছে? রাজ্যে পুজোর সংখ্যা ২৮ হাজারের বেশি। তবে বেছে বেছে কেন ২৮ হাজার পুজো কমিটিকেই এই টাকা প্রদান করা হচ্ছে? এই বাছাইয়ের পদ্ধতি কী? রাজ্যে অন্য যেসব সম্প্রদায়ের উৎসব হয় সেখানেও কী এই অর্থ প্রদান করা হয়?
এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার। এসব উত্তর তাদের কাছে চাওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এর উত্তর জানাতে হবে রাজ্যকে। আপাতত হাইকোর্টের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদানের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারে তরফে পাল্টা সওয়াল করা হয় যে তারা এই টাকা সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর প্রচারের স্বার্থে পুজো উদ্যোক্তাদের দিচ্ছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, এ কাজ সরকার নিজেই করতে পারে। এর প্রচারের জন্য পুজো কমিটিগুলোকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন কী!