প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
তৃতীয়াতে যখন শহরবাসীর অনেকে ভাবছিলেন কোথায় কোথায় কবে ঠাকুর দেখবেন ঠিক তখনই সব প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা : রাজ্যের কোনও মণ্ডপে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেননা। মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। ৫ থেকে ১০ মিটার দূর পর্যন্ত ব্যারিকেড করা থাকবে। এর বাইরে সকলকে থাকতে হবে। মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেননা।
পুজোর প্রয়োজনে মণ্ডপে যাঁদের ঢুকতে দিতে হবে তাঁদের একটি তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙানো থাকবে। যাঁদের নাম সেই তালিকায় থাকবে তাঁরাই কেবল মণ্ডপে প্রবেশাধিকার পাবেন। তাও একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি নয়। সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদালত আরও জানিয়েছে, জনগণ যেন এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পুজো দেখেন। আদালতের দেওয়া নির্দেশ কতটা কার্যকরী হল সে সম্বন্ধে একটি হলফনামা কলকাতার পুলিশের কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পেশ করতে হবে আদালতে। আগামী ৫ নভেম্বর তা পেশ করতে হবে।
আদালত আরও জানিয়েছে, পুজো দেখার যে গাইডলাইন তৃতীয়া থেকে দেওয়া হয়েছে তাতে ভুল নেই। কিন্তু তা বাস্তবে মানা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ৩০ হাজার পুলিশকর্মী তাঁদের সব কাজ সামলে পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বলে মনে করছেন না বিচারপতি। তিনি বলেন এই সংখ্যা ৩২ হাজার করলেও সম্ভব নয়। ফলে এবার পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদেরই প্রবেশ নিষেধ করা হল। এরফলে কার্যত পুজো প্যান্ডেলগুলির সামনে দর্শকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড বসে গেল।
যে স্ফূর্তি নিয়ে পুজোয় মেতে ওঠার কথা ভাবছিলেন কিছু মানুষ তাঁরা এবার আর সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। প্যান্ডেল থেকে দূরেই থাকতে হবে তাঁদের। মণ্ডপে বারোয়ারির সকলেও একসঙ্গে ঢুকতে পারছেন না।
কারণ প্যান্ডেলের বাইরে দেওয়া ব্যারিকেডের মধ্যে একসঙ্গে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ জনই থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার বেশি পাড়ার লোকজনও ঢুকতে পারছেন না প্যান্ডেলে। এছাড়া প্যান্ডেলের বাইরে নামের তালিকায় নাম থাকলে তবেই মিলবে প্রবেশের অনুমতি।