রাজ্যে কালীপুজো ও দীপাবলীতে আতসবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করল হাইকোর্ট
এ রাজ্যে নিষিদ্ধ হয়ে গেল কালীপুজো, দীপাবলি ও ছটপুজোতে বাজি পোড়ানো। বৃহস্পতিবার ২টি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা : আদালতের নির্দেশে এ রাজ্যে কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হয়ে গেল। হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার ছট পুজোতেও রাজ্যে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে জানিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২টি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ে বাজি ব্যবসায়ীরা অখুশি হলেও পরিবেশ কর্মী থেকে চিকিৎসক মহল সকলেই খুশি ব্যক্ত করেছেন।
চিকিৎসকেরা করোনা আবহে বারবার বলে আসছিলেন বাজি পোড়ানো হলে তা করোনা রোগীদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকেরা বারবার বলছিলেন বাজি বাতাসে যে দূষণ ছড়াবে তাতে শ্বাসের কষ্ট থাকলে তা বাড়বে। তাছাড়া করোনা রোগে বাতাসে দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে।
রাজ্যসরকারের তরফেও এবার বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানানো হয়। করোনা পরিস্থিতি ও সংক্রমিতদের কথা মাথায় রেখেও বাজি পোড়ানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা ছিল আবেদন। বৃহস্পতিবার তা আদালতের নির্দেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে গেল বাজি পোড়ানো।
গোটা দেশেই এবার বাজি পোড়ানো নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। দিওয়ালী মানেই বাজি, কিন্তু এবার যা পরিস্থিতি তাতে বাজি পোড়ানো হলে তা ভয়ংকর অবস্থা তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করছিলেন বিশেষজ্ঞেরা।
রাজস্থানের মত রাজ্যে তো বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। দিল্লিতেও তাই। অন্য রাজ্যগুলিও বাজি পোড়ানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।
সব মিলিয়ে এবার বাজির রোশনাই যে কালীপুজো বা দিওয়ালীর রাতের আকাশ রঙিন করবে না তা মোটামুটি পরিস্কার।
বাজি ব্যবসায়ীরা অবশ্য বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছিলেন। বহু মানুষের রুজিতে টান পড়বে বলেও জানান তাঁরা। সময় বেঁধে দিয়ে বাজি পোড়াতে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু এদিনের আদালতের নির্দেশের পর এ রাজ্য সে সুযোগ আর রইল না।
তবে এই নির্দেশকে চিকিৎসকেরা স্বাগত জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বাজির দূষণ ভয়ংকর হতে পারত বলেই মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা