বলিউডের পরিচালক রোহিত শেট্টির ‘গোলমাল’ সিনেমার কোনো একটি সিকুয়েল দেখেছেন? বা যশ চোপড়া প্রযোজিত ‘ধুম’? বলিউডের কথা ছেড়ে দিন। ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’-এর যেকোনও একটা সিকুয়েলও হয়ত দেখে থাকবেন। এদের মধ্যে একটা জিনিসে খুব মিল। আর তা হল মারকাটারি অ্যাকশন দৃশ্যে মাটি ছেড়ে অনেক উঁচুতে গাড়ির কেরামতি। যে দৃশ্য আবার তারিয়ে তারিয়ে উপভোগও করেন দর্শক। সেই দৃশ্যের হুবহু ঘটনা এবার রুপোলী পর্দা ছেড়ে পা দিল বাস্তবে। গাড়ি মাটি ছেড়ে উড়ে গিয়ে সোজা গেঁথে গেল এক দন্ত চিকিৎসকের অফিসের দেওয়ালে। তবে অতিমানবিক সেই স্টান্টে মোটেই মুগ্ধ হননি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা আনা অঞ্চলের মানুষ। বরং সেই দৃশ্য যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি করেছে মানুষের মধ্যে। এই চোখ কপালে তোলা স্টান্ট কিন্তু স্টান্টম্যানের কোনও কেরামতি নয়।
ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা এক ব্যক্তির কীর্তি এটি। তাও নেহাতই অজান্তে। গাড়ির এমন আকাশযানে পরিণত হওয়ার অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার ভোরবেলা। সান্তা আনা অঞ্চলের রাস্তা ধরে দ্রুত গতিতে ছুটছিল সাদা রঙের সিডানটি। চরম গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রাস্তার ধারে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে আচমকা রকেটের মত শূন্যে ছিটকে ওঠে গাড়িটি। বোঁ করে সোজা গিয়ে তা ধাক্কা মারে সামনে থাকা একটি অফিসের দোতলার দেওয়ালে। দেওয়াল ফুঁড়ে গাড়ির সামনের অংশ বেশ খানিকটা ঢুকে যায় ভিতরে। বাকিটা শূন্যে ঝুলতে থাকে। সাথে সাথে ক্ষীণ আগুনের হল্কা ছিটকে পড়তে থাকে গাড়ি থেকে। এতকাণ্ডের পর অবশেষে গাড়ির ভিতরে ড্রাগের নেশায় বিভোর ২ ব্যক্তির চৈতন্য ফেরে। তাঁদেরই ১ জন কোনওরকমে গাড়ির ভিতর থেকে নিজেকে টেনে বার করে আনেন। আরেকজন ঘণ্টাখানেক আটকে থাকেন গাড়ির ভিতরেই। পরে খবর পেয়ে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ এসে গাড়িসহ দ্বিতীয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
চালকসহ ২ জনকেই চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। উড়ন্ত গাড়ির সওয়ারিরা ড্রাগ সেবন করেছিলেন। ওই ২ ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষার পর একথা নিশ্চিত করেন চিকিৎসকেরা। যার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমন আজব বিপত্তি বলে মনে করছে পুলিশ। এদিকে ভোরের দিকে অফিসে লোকজন না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। ঝুলন্ত গাড়ি দেখতে অনেকেই ভিড় জমান সেখানে।