এক নতুন রংয়ের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, যা মানুষ কখনও দেখতে পায়নি
এ এক অনন্য আবিষ্কার। পৃথিবীতে যত রং রয়েছে তা কমবেশি সকলের দেখা। কিন্তু এমন আরও একটি রং রয়েছে, কিন্তু মানুষ তা দেখতে পায়না। তার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

লাল, নীল, সবুজ, হলুদ এবং আরও নানা রং ছড়িয়ে আছে চারধারে। পৃথিবী এসব রংয়েই রঙিন। মানুষ সেসব রং সহজেই দেখতে পান। এগুলি দেখা যায় চোখের রেটিনাতে রং বুঝতে পারার জন্য থাকা কোন-এর সৌজন্যে। সেই কোন পারে রং চিনতে ও বুঝতে।
তার হাত ধরেই মানুষ নানা রং দেখতে পান। এই কোন রংয়ের ৩ ধরনের তরঙ্গ বুঝতে পারে। একটি দীর্ঘ বা লং, একটি মধ্যম বা মিডিয়াম এবং অন্যটি ক্ষুদ্র বা শর্ট।
এই ৩ ধরনের তরঙ্গের মধ্যে লং এবং শর্ট তরঙ্গে থাকা রং কোন চিনতে পারে। কিন্তু মানুষের রেটিনায় থাকা কোন এম বা মিডিয়াম তরঙ্গ ধরতে পারেনা। পৃথিবীতে যে নতুন রংটি রয়েছে তা ওই এম কোন সক্রিয় হলেই দেখা সম্ভব।
এজন্য ৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে একটি পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। তাঁরা ওই স্বেচ্ছাসেবকদের এম কোনকে স্ক্যান করে সেখানে একটি লেজার রশ্মি প্রবেশ করান। যার ফলে সেটি সক্রিয় হয়। আর তা সক্রিয় হতে তাঁরা আরও একটি রং দেখতে পান। যা পৃথিবীতে রয়েছে ঠিকই কিন্তু কেউ দেখতে পান না।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, রংটি অনেকটা ময়ূরের যে নীল অনেকটা তার মত। কিন্তু এমন রং এর আগে তাঁরা দেখেননি। বিজ্ঞানীরা এই নতুন রংটির নাম দিয়েছেন ‘ওলো’।
তাঁরা এটাও স্পষ্ট করেছেন যে এই নতুন রংটি থাকলেও তা মানুষের পক্ষে সুদূর ভবিষ্যতেও দেখা সম্ভব হবেনা। তবে এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পেরে খুশি বিজ্ঞানীরা।