গরম হোক বা শীত, আইসক্রিম সবার হট ফেভারিট। ভ্যানিলা, চকোলেট, স্ট্রবেরি, টু ইন ওয়ান এবং আরও নানা স্বাদের সম্ভার নিয়ে আইসক্রিমের সুবিশাল রাজ্যপাট। কাপ হোক বা কোন, বার হোক বা স্কুপ, আইসক্রিমের স্বাদের ভাই ভাগ হবে না। সেই আইসক্রিমকেই এবার আরও ‘ব্যক্তিগত’ করে তুলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইসক্রিম প্রস্তুতকারী সংস্থা। সোনায় মোড়ানো আইসক্রিম বলে কথা! ব্যক্তিগত সম্পদ তো হবেই। স্বর্ণকান্তি সেই আইসক্রিমকে তাই ফ্রিজ নয়, ব্যাঙ্কের শীততাপনিয়ন্ত্রিত লকারে রাখাই নিরাপদ। আইসক্রিমকে এমন মহার্ঘ করে তোলার পুরো কৃতিত্বটাই আমেরিকার অ্যানাহাইম শহরের ‘স্নোওপলিস’ নামে আইসক্রিম প্রস্তুতকারী সংস্থার। তাদের আইসক্রিমের সাজসজ্জা রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। এমন অমূল্য শীতল খাদ্যে হাত দিতেই যদিও ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আইসক্রিমপ্রেমীদের।
‘স্নোওপলিস’ নির্মিত আইসক্রিমটি দেখতে লোভনীয় না হলেও কিন্তু ভারি সুন্দর। ২৪ ক্যারেট সোনার স্প্রে দিয়ে তৈরি কোনের শরীর। তার ওপরে পরিচিত ক্রিমি আইসক্রিমের স্তর উধাও। বদলে ২৪ ক্যারেট সোনার উজ্জ্বল পিরামিড নিঃসন্দেহে চোখ ধাঁধিয়ে দেয় আইসক্রিম বুভুক্ষুদের। এমন অমূল্য আইসক্রিমটিতে সত্যি কামড় দিতে মন চায়না। মনে হয়, ৯৭৫ টাকা পকেট থেকে খসিয়ে দুচোখ ভরে শুধু আইসক্রিমের দিকেই তাকিয়ে থাকি। আর অন্যকেও তা দেখাই। আর সেই সুযোগ পেতে সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার দরকার নেই। ভারতেই মিলবে সোনার পরশ মাখা আইসক্রিমের সন্ধান। ট্রেন বা প্লেনে চড়ে তার জন্য যেতে হবে হায়দরাবাদে। সেখানকার বিখ্যাত আইসক্রিম পার্লার ‘হাবার এন্ড হলি’-তে ঢুঁ মারলেই পাওয়া যাবে ব্রাউনি, পেস্তা, বাদাম, হট ফাজ, ডার্ক চকোলেট যোগে সোনার রাংতায় মোড়া আইসক্রিম। দামটা একটু চড়াই, মাত্র হাজার টাকা।