নেটিজেনদের নয়নের মণি ইউটিউব। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ব্রুনোতে অবস্থিত জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটির সদর দফতর। মঙ্গলবার এক মহিলা বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হল ইউটিউবের সেই ঝাঁ চকচকে কার্যালয়। স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টা। দুপুরবেলা, লাঞ্চটাইম। তাই কর্মচারিদের অনেকেই খাওয়া দাওয়ার উপক্রম করছেন। কেউ আবার সহকর্মীর সঙ্গে সেরে নিচ্ছিলেন দরকারি কথা। অভিযোগ এমন সময় দফতরের নিচের তলার ডাইনিং হলের দিক থেকে ছুটে আসে তীব্র আওয়াজ। একবার দুবার নয়, বেশ কয়েকবার গুলির আওয়াজে চমকে ওঠেন দফতরের উপরতলায় কর্মরত লোকজন। কারওর আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে বন্দুকবাজের হামলা হয়েছে অফিসে। প্রাণভয়ে ততক্ষণে অনেকেই ছুট লাগিয়েছেন বাইরের দিকে। দুরুদুরু বুকে কেউ আবার ফোনে ডায়াল করে দফতরে হামলার খবর জানিয়ে দেন পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ ৪ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে এক মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ইউটিউব কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ফুটেজ থেকে স্পষ্ট হয়, মৃত মহিলাই ইউটিউব দফতরে হামলাকারী বন্দুকবাজ।
প্রতি সেকেন্ডে ইউটিউবে আপলোড হয় বিষয়ভিত্তিক নানা ভিডিও। সেইসব ভিডিওর মধ্যে দিয়ে একদিকে নেটিজেনদের মনোরঞ্জন হয়। অন্যদিকে যারা ভিডিও আপলোড করেন, তাঁরা উপার্জনের পাশাপাশি পেয়ে যান কিছুটা পরিচিতি। নাসিম আঘদাম ছিলেন তাঁদেরই একজন। ইউটিউবে তাঁর নিজস্ব চ্যানেল ছিল। ইউটিউব কর্তৃপক্ষের দাবি, নাসিম তাঁর চ্যানেলে সংবেদনশীল, বিতর্কিত ভিডিও আপলোড করতেন। তাই সম্প্রতি ৩৯ বছরের ওই মহিলার চ্যানেল ইউটিউব বন্ধ করে দেয়। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন ওই মহিলা। প্রতিহিংসাবশতই নাসিম ইউটিউবের সদর দফতরে হামলা চালান বলে ধারণা পুলিশের। তবে বন্দুকবাজ মহিলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।