World

খাদ্য মেলায় চলল গুলি, মৃত ৩

খাদ্য মেলা মানেই কব্জি ডুবিয়ে ভালমন্দ খাওয়া। স্টলে স্টলে ঘোরা। আর জিভে জল আনা আইটেম দেখলে চেখে ফেলা। সপ্তাহান্তে এমন একটা উৎসব পেলে খাদ্য রসিক মানুষের তো পোয়া বারো। রসনা তৃপ্তি আর উইকএণ্ডের আনন্দ, ২টো একসঙ্গে হলে তো কথাই নেই। এমনই এক খাদ্য মেলার আসর বসেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার গিলরয় শহরে। প্রতি বছরই খাদ্য উৎসবের আসর বসে এখানে। নাম গারলিক ফেস্টিভ্যাল।

রবিবার ছুটির দিন। বিকেল বেলা। গোটা মেলাই তখন রমরম করছে। মানুষ তারিয়ে উপভোগ করছেন খাবারদাবার। সেই আনন্দ উৎসবকে ম্লান করে দিয়ে সেখানে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে এক বন্দুকবাজ। স্থানীয় সময় তখন ৫টা ৪১ মিনিট। আচমকা গুলি বর্ষণে সকলেই প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করেন। চারিদিকে আর্ত চিৎকার। কার গায়ে কখন গুলি এসে লাগবে তা বোঝা যাচ্ছেনা। পরিবার নিয়ে সকলেই তখন বাঁচতে ছুটছেন।


পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রসুনের হাজারো পদ নিয়ে হাজির এই গারলিক ফেস্টিভ্যালে মধ্য ৩০-এর সাদা চামড়ার ওই আততায়ী সম্ভবত ঢোকে মেলার চারধারে দেওয়া বেড়ার জাল কেটে। এক টুপি বিক্রেতা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে গুলি চালাচ্ছিল তার হাতে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল। যা দিয়ে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছিল। কোনও টার্গেট করে গুলি চালায়নি সে।

এই গুলি চালনার ঘটনায় ৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ১৫ জন গুলিতে আহত হন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। খুব বেশি সময় নয়, ১ মিনিটেরও কম সময় এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। পুলিশের অনুমান আততায়ী ছাড়াও তার এক সহযোগী হয়তো ছিল। তবে তার সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য পুলিশ পায়নি। আততায়ী গুলি চালানো শুরু করতেই মেলায় কর্মরত পুলিশ কর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালান। তাতে ওই বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়। কেন সে এমন করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button