রোদে পুড়ছে মৃত্যু উপত্যকা, ১০৭ বছরে এমন গরমের নজির নেই
রোদে পুড়ে ঝামা হচ্ছে মৃত্যু উপত্যকা। এমন গরম শতবর্ষে দেখেনি এ অঞ্চল।
লস অ্যাঞ্জেলস : যত দিন যাচ্ছে ততই যেন প্রকৃতি চরম আকার নিচ্ছে। গরম পড়লে চরম গরম। বৃষ্টি হলে অস্বাভাবিক বৃষ্টি। ঝড় হলে প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডবলীলা, ঠান্ডা পড়লে হাড় জমানো ঠান্ডা। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ক্রমশ চরমপন্থি আবহাওয়া থাবা বসাচ্ছে। তেমনই এক পরিস্থিতির শিকার হল মৃত্যু উপত্যকা বা ডেথ ভ্যালি। মার্কিন মুলুকের পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ার এই মৃত্যু উপত্যকা বিশ্বের অন্যতম গরম জায়গা হিসাবে পরিচিত। উত্তর মোজাভে মরুভূমির অংশ এই মৃত্যু উপত্যকা। নামেই যার লুকিয়ে একটা গা ছমছমে ব্যাপার।
এই মৃত্যু উপত্যকায় গত রবিবার বিকেল ৩টে ৪১ মিনিটে রেকর্ড হয়েছে চরম তাপমাত্রা। ফার্নেস ক্রিক-এ এই পারদ পাওয়া গিয়েছে। ৫৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এখানে। যে পারদ গত ১০৭ বছরে মৃত্যু উপত্যকার কোথাও পাওয়া যায়নি। এমন চরম গরম যেখানে রেকর্ড হয়েছে তার খুব কাছেই রয়েছে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা। শতবর্ষের রেকর্ড ভাঙা এমন পারদ উত্থানে গোটা মার্কিন মুলুক জুড়ে হৈচৈ পড়েছে।
১৯১৩ সালে জুলাই মাসে ৫৪.৪ ডিগ্রির ওপর পারদ চড়েছিল এখানে। তারপর ফের এই উচ্চতায় গরম মাথাচাড়া দিল। ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই মৃত্যু উপত্যকায় পারদ চড়েছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটাই সবোর্চ্চ। তারপর তার কাছে গেল গত রবিবারের পারদ। অবশ্য মৃত্যু উপত্যকায় গরম থাকেই। চরম গরমে পোড়ে এলাকা।
মৃত্যু উপত্যকা মানেই প্রবল গরম। তাই বিজ্ঞানীরা সবসময়ই এই এলাকার পারদের ওপর কড়া নজর রাখেন। গরমই এখানকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। যার জন্যই এই মরু অঞ্চল মৃত্যু উপত্যকা। গরমকালে বিশ্বের অন্যতম গরম এলাকা হল মৃত্যু উপত্যকা। এর আরও এক বৈশিষ্ট্য হল এখানকার শুকনো আবহাওয়া।
বিশ্বের অন্যতম শুকনো এলাকা এটি। তার আবার সবচেয়ে গরম জায়গা হল ফার্নেস ক্রিক। চারিদিকে যেদিকেই চোখ যায় শুধুই শুকনো আবহাওয়া এখানে মানুষকে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখে দাঁড় করায়। অনেকেই এই পরিস্থিতি অনুভব করতে এখানে হাজির হন পর্যটক হিসাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা