৩৮ বছর পর সবচেয়ে শুকনো জানুয়ারি দেখল হলিউডের রাজ্য
এমন শুকনো জানুয়ারি গত ৩৮ বছরে দেখেনি এই রাজ্য। শতাধিক বছরে এটাই দ্বিতীয় শুষ্কতম জানুয়ারি। যা এক চরম অশনিসংকেত নিয়ে হাজির হয়েছে।
সেই ১৯৮৪ সালে এমন এক শুকনো জানুয়ারি দেখা গিয়েছিল। তারপর আর নয়। হবেই বা কেমন করে। এই সময়টা তো এখানে বর্ষা। হয় এখানে বৃষ্টি হয়, নতুবা কোথাও কোথাও বরফ পড়ে।
অক্টোবর মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকে। যার হাত ধরে পুরো রাজ্য প্রয়োজনীয় জল পেয়ে যায়। সবুজ উপত্যকা, পাহাড় থেকে মাঠঘাট, মালভূমি, সমুদ্রতট সবই সেজে ওঠে নতুন উন্মাদনায়।
এখানেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সিনেমা শিল্পের পীঠস্থান হলিউড। সেই ক্যালিফোর্নিয়া ৩৮ বছর পর সবচেয়ে শুকনো জানুয়ারি কাটাল।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এখানে বেশ কিছু জায়গায় খরা দেখা দিতে পারে। জলাভাব এতটাই চরমে পৌঁছনোর আশঙ্কা করছেন আবহবিদেরা।
১৮৯৫ সালে একবার ক্যালিফোর্নিয়ায় এমন শুকনো জানুয়ারি দেখা গিয়েছিল। তারপর বহু বছর পর ১৯৮৪ সালে তা দেখা যায়। এবার দেখা গেল ২০২২ সালে।
আবহাওয়া যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার নেবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। সিয়েরা নেভাডা এই সময় বরফে মুড়ে থাকে। সেখানেও বরফ গলতে শুরু করে দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য মার্চ পর্যন্ত যা পূর্বাভাস তাতে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। এপ্রিলের পর এমনিতেই সেখানে বৃষ্টি হয়না। ফলে এবার খরা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় পৌঁছতে পারে তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না আবহবিদেরা। তবে পরিস্থিতি যে আদৌ সুখের হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা