১২ বছরের মেয়ের দেহে দানা বেঁধেছে ক্যানসার, ধরে দিল ঘড়ি
১২ বছরের মেয়েটার দেহে যে গোপনে দানা বেঁধেছে ক্যানসার। তা সে তো নয়ই, এমনকি তার পরিবারের কেউও জানতেন না। কিন্তু ঘড়ির কৃপায় সব জানা গেল।
১২ বছরের মেয়েটির শরীরে কোনও গোলমাল সে অর্থে নজরে পড়েনি। দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে। বাড়ির কেউও তাকে নিয়ে ভাবার দরকার আছে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। ভাবতে শুরু করলেন ঘড়ির উপদ্রবে।
মেয়েটির হাতে থাকা ঘড়িটি ছিল স্মার্টওয়াচ। যা হালে প্রায়ই বিপবিপ করা শুরু করেছিল। আর তা বেড়েই চলেছিল। এভাবে ঘড়ি বিপবিপ করতে থাকায় সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের! কিছু কি বলতে চায় ঘড়ি? তবে কি কোনও বড় ধরনের অস্বাভাবিকতা রয়েছে বালিকার শরীরে?
এটা জানার জন্য তার মা তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে হাজির হন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানতে পারেন মেয়েটির অ্যাপেন্ডিক্সে একটি টিউমার রয়েছে। নাম নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার। যা ততক্ষণে অ্যাপেন্ডিক্স তো বটেই দেহের অন্য অংশেও ছড়াতে শুরু করেছে।
এতো নিশ্চিত মৃত্যুর হাতছানি! চিকিৎসকেরা দ্রুত ওই টিউমার কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে তা থেকে বিষ অন্যত্র আর ছড়াতে না পারে। যাতে এই ক্যানসার এখানেই শেষ হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকো-র বাসিন্দা ১২ বছরের ইমানি মাইলস-এর মা জেসিকা এখন বারবার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মেয়ের হাতে থাকা ঘড়িটিকে। সেটিকে আর নিছক ঘড়ি মানতেও নারাজ তিনি। বরং এক জীবনদায়ী দূতের মতই অ্যাপল স্মার্টওয়াচটিকে দেখছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা