মশা মারতে কামান নয় এবার ড্রোন দাগল স্থানীয় প্রশাসন
মশা মারতে কামান দাগার কথা তো সকলের শোনা, কিন্তু মশা মারতে নতুন যুগে আর কামান নয় এবার শুরু হল ড্রোন দাগা।
মশা মারাটা হল লক্ষ্য। আগে ছিল কামান দাগা। এবার সেই কামানের স্থান দখল করে নিল নব্য প্রযুক্তির ড্রোন। যা একটি এলাকার মশাদের বিনাশ করতে সিদ্ধহস্ত। স্থানীয় সব জলাশয় থেকে ঝোপঝাড় জঙ্গল, সর্বত্র মানুষকে পাঠিয়ে তাঁদের দিয়ে মশা মারার উপাদান স্প্রে করানো মুখের কথা নয়। সেখানে ড্রোন আকাশে উড়ে সহজেই সব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। তারপর উপর থেকে ছড়িয়ে দিচ্ছে মশা মারার উপাদান।
এই উপাদান মশার লার্ভাগুলিকে মেরে ফেলছে। লার্ভাই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আর মশার জন্ম হচ্ছেনা। এলাকা মশার তাণ্ডব থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টিতে ড্রোনের সাহায্যে এভাবে মশার বিনাশ শুরু হয়েছে। এখানে বৃষ্টি একটু বেশিই হয়। আর বৃষ্টির সময় ফি বছর মশার উপদ্রব ভয়ংকরভাবে বেড়ে যায়।
বৃষ্টির জল পেয়ে মশারা বংশবৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ পায়। তারপর গোটা এলাকায় মশার তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। এমন সব জায়গায় মশার লার্ভা বড় হতে থাকে যে সেখানে সবসময় পৌঁছনোও সম্ভব হয়না।
এবার আকাশপথে সর্বত্রেই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মশা মারার উপাদান। যা যেখানেই লার্ভা বাড়ুক না কেন সেখানেই ছড়িয়ে পড়বে এবং তাদের মেরে ফেলবে।
ড্রোন হওয়ায় কোনও জায়গাই এই মশা নাশকের আওতার বাইরে থাকছে না। অরেঞ্জ কাউন্টি মসকুইটো অ্যান্ড ভেক্টর কন্ট্রোল এই কাজে নেমেছে।
নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় কাজটা অনেক সহজ হয়েছে বলে মেনে নিচ্ছেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। ফলে চলতি বছরে এই অঞ্চলে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী তাঁরা।