দৈনন্দিন খাবারের আয়োজন করতে নিজেদের মলই একমাত্র ভরসা দম্পতির
এক দম্পতি দিব্যি দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন নানারকম খাওয়াদাওয়াও করছেন। তবে সে খাবারের আয়োজন সম্ভব হচ্ছে তাঁদের মলের কারণে।
শরীরের বর্জ্য পদার্থ শরীর মলের আকারে বার করে দেয়। যার সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক একটাই, যে খাবার খাচ্ছেন, তার অপ্রয়োজনীয় অংশ মল আকারে নির্গত হয়ে যায় শরীর থেকে। কিন্তু পরদিন রান্না করে কি খাওয়া হবে তা তো আর তাঁদের মলের ওপর নির্ভর করতে পারেনা। অথচ সেটাই তো হচ্ছে। এক দম্পতির খাওয়াদাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করে আছে তাঁদের জমে যাওয়া মলের ওপর।
এই দম্পতি চেয়েছিলেন শহর থেকে অনেক দূরে একান্তে জীবন কাটাতে। সেজন্য তাঁরা মরুভূমির মাঝে একটি বাড়ি তৈরি করেছেন। সে বাড়ি অবশ্য তাঁবুর মত দেখতে।
বাড়ির পাশেই একটি গ্রিন হাউস বানিয়েছেন তাঁরা। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে সবজি। সেই সবজিই তাঁরা রান্নার জন্য ব্যবহার করছেন।
বিশাল এক ট্যাঙ্ক রেখেছেন বাড়ির পাশে। সেখানে জল শহর থেকে আনিয়ে জমা করে নেন। সেই জল একবার আনিয়ে জমা করলে বেশ কিছুদিন আর জল নিয়ে ভাবনা থাকেনা।
বাড়িকে ঠান্ডা রাখতে রয়েছে এসি। সব বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে সোলার প্যানেল। সবই হল কেবল বাকি রইল রান্নার গ্যাস। এটার জন্য দম্পতি তাঁদের মলের ওপর ভরসা রাখেন।
দৈনন্দিন জীবনে যে মলত্যাগ ২ জনে করেন তা তাঁরা ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখেন। মলের সঙ্গে মিশিয়ে দেন প্রতিদিন যে সবজির খোসা বার হয় সেগুলিকে। তারপর মল ও সবজির খোসা পচতে শুরু করে। তা থেকে একটি বিশেষ গ্যাস নির্গত হতে থাকে।
সেই গ্যাসকেই কাজে লাগিয়ে দিব্যি তাঁদের রান্নার প্রয়োজনীয় গ্যাসের বন্দোবস্ত হয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা এই দম্পতি ২০২০ সালেই ক্যালিফোর্নিয়ার জোসুয়া ট্রি ন্যাশনাল পার্কের জোড়া মরুভূমির শুকনো প্রান্তরে থাকা শুরু করেন। ৩৩ বছরের হুইটনি তাঁর ২৬ বছরের স্বামী ট্রেন্টকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছেন এভাবেই।