অবিশ্বাস্য ঘটনা, জলে ভেসে বেড়াচ্ছে আস্ত দোতলা বাড়ি
জলে নৌকা ভেসে বেড়াতে পারে। তা বলে দোতলা বাড়ি ভেসে বেড়াচ্ছে, তাও আবার হয় নাকি। কিন্তু সেটাই তো হল। ফলে কৌতূহল ও ভয় মিলেমিশে একাকার।
জলের ওপর পর্যটন নতুন নয়। একসময় মানুষ জাহাজে জলে ভেসে পড়তেন। এখন ক্রুজে চেপে ভেসে পড়েন অতল জলের আহ্বানে। ক্রুজ আবার বেশ কয়েক তলার হয়। তবে তাকে দেখে বোঝা যায় সেটি ক্রুজ জাহাজের অংশ। দোতলা বাড়ি এমন হয়না।
কিন্তু এবার জলে ভাসতে দেখা গেল আস্ত দোতলা বাড়িকে। বাড়িটি দিব্যি ভেসে বেড়াচ্ছিল জলের ওপর। খুব আস্তে এগোচ্ছিল বটে, কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছিল।
এই কাণ্ড দেখে তো মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। এমনও হতে পারে নাকি? সাধারণ মানুষ কেন, উপকূলরক্ষী বাহিনীও ওই ভেসে যাওয়া দোতলা বাড়ির কাছে ঘেঁষতে চায়নি। আর এমন করে দিন চারেক কেটে যায়।
৪ দিন পর অবশেষে সেই জলে ভাসতে থাকা দোতলা বাড়ির রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়েছে। প্রশাসন জানতে পারে সান ফ্রানসিসকো উপসাগরে ভেসে বেড়ানো ওই দোতলা বাড়িটি আদপে একটি হাউস বোট।
রেডউড সিটি মারিয়ানায় হাউসবোটেই জলে ভেসে জীবন কাটাচ্ছিলেন এমন মানুষের সংখ্যা ছিল শতাধিক। ২০১৫ সালে আশপাশের প্রতিবেশিরা এঁদের এভাবে থাকার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেন। যার জেরে শহর প্রশাসন ওই জলে ভাসা বাড়িগুলি ফাঁকা করতে থাকে।
সেখানকার বাসিন্দারা অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করেন। বাড়িগুলি ফাঁকা হয়ে যায়। এভাবে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ভাসমান বাড়িগুলি, যেগুলি জেটির মত একটি পাটাতনের ওপর তৈরি, সেগুলি নষ্ট হতে শুরু করে।
তারই একটি আবার ভেসে চলে আসে সান ফ্রানসিসকো উপসাগরে। জনপ্রাণিহীন এক দোতলা সুন্দর বাড়ি এভাবে ভেসে এগিয়ে চলায় ভীত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষ ও প্রশাসন।