ঢুলুনি এলেই বুঝতে পারবে এই কানের যন্ত্র, বাঁচাবে বহু মানুষকে
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই যন্ত্র যে কতটা কার্যকরী হতে পারে তা হয়তো এর বহুল ব্যবহার হলেই বোঝা যাবে। যা মানুষের জীবনও রক্ষা করবে।
দৈনন্দিন জীবনে রাতে ঘুম বাদ দিলেও কাজের ফাঁকে অনেক সময় ঢুলুনি আসে। যা হয়তো ডেস্কে বসে কাজ করার সময় এলে তা বড় ক্ষতির কারণ হবেনা। কিন্তু যিনি গাড়ি চালাচ্ছেন। স্টিয়ারিংয়ে রয়েছেন। তাঁর মনঃসংযোগ এতটুকু নষ্ট হলে, সজাগ থাকা এতটুকু নড়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে সময় লাগবেনা।
অনেক সময় দেখা যায় গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে থাকা মানুষটির ঢুলুনি আসে। সেই সময় একবারের জন্যও যদি চোখটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দুর্ঘটনা যে কোনও পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। কেড়ে নিতে পারে জীবন।
যাঁরা মেশিনে কাজ করেন তাঁদেরও সর্বদা সজাগ থাকতে হয়। নাহলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। মেশিনে তাঁর ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
ফলে এমন ধরনের কাজে লিপ্ত থাকার সময় ঢুলুনির এতটুকু সুযোগ নেই। কিন্তু মানুষের ঢুলুনি অনেক সময় তাঁর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করেনা। এটা কখন এসে পড়বে তা তিনি নিজেও বুঝতে পারেননা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, এবার এমন এক কানের যন্ত্র তৈরি করেছেন তাঁরা যা কারও ঢুলুনি আসার পরিস্থিতি তৈরি হলেই জানান দেবে।
কানে এই মেশিনটি পরতে হবে। ইয়ারবাড-এর মত একটি যন্ত্র। যা মস্তিষ্কের তরঙ্গ বুঝতে পারবে। সেই তরঙ্গে কোনও অস্বাভাবিকতা তৈরি হলে, তা ধীর হয়ে এলেই, যন্ত্রটি তা ধরে ফেলতে পারবে।
এই ধীরে হয়ে যাওয়া মানেই এবার ঢুলুনি আসতে চলেছে। তাই চোখ ঝিমিয়ে পড়ার আগেই সেই মেশিন জানান দেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। যাতে তিনি আগে থেকেই সজাগ হয়ে যান।
মেশিনে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে কাজে লাগবে এই মেশিন। মেশিনটি আবিষ্কার করার পর তা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা